ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে পুতিনের আত্মবিশ্বাস, জেলেনস্কির হতাশা!

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দিন যতই গড়াচ্ছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আত্মবিশ্বাস ততই বাড়ছে। আগামী বছরের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার নিরাপত্তায় ১৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধ তহবিলের অনেকটাই আটকে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ফলে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কণ্ঠে হতাশার সুর বাড়ছে। খবর আল জাজিরা।

পুতিন

সম্প্রতি ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৪ সালের জন্য রাশিয়ার সামরিক খাতের বাজেট সম্পর্কে ধারণা দেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার নিরাপত্তায় ১৫৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের যে ঘোষণা তিনি দিয়েছেন, তা চলতি বছরের ব্যয়ের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে এ ব্যয়টি হবে স্নায়ুযুদ্ধের পর এ খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয়।

ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির বৈঠকে চলমান যুদ্ধ জয়ের বিষয়ে পুতিনকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও সামরিক শক্তিহীন করার যে কথা বলে দেশটিতে যে অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া, তার উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রাশিয়া হয় একটি সার্বভৌম, সম্পূর্ণরূপে নিজেদের ওপর নির্ভরশীল শক্তি হবে, অন্যথায় এর কিছুই থাকবে না।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ইউক্রেনের তহবিলে আটকে দিচ্ছে রিপাবলিকানরা। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশও ইউক্রেনকে তহবিল ছাড় করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এমনকি অনেক দেশ ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬১ দশমিক ৪ বিলিয়ন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ৭৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন জেলেনস্কি। এর পুরো প্রভাব পড়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। অস্ত্র সরঞ্জামের অভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন বাহিনী এখন কেবল আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে। অস্ত্র ও তহবিলের পাশাপাশি ইউক্রেন সেনা সংকটেও পড়েছে। তাই বিদেশে থাকা যুবকদের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলেনস্কি।