ইরানি জেনারেলকে হত্যা, হামাস ও হিজবুল্লাহর নিন্দা

সিরিয়ায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) উপদেষ্টা সাইয়েদ রাজি মুসাভিকে ইসরায়েল কর্তৃক হত্যা ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে হামাস এবং হিজবুল্লাহ। ২৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার এই দুই গ্রুপ পৃথক বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে।

সাইয়েদ রাজি মুসাভি

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার ভূখণ্ডে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজি মুসাভিরের হত্যা একটি অপরাধমূলক ঘটনা। এটি একটি কাপুরুষোচিত হামলা, যা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।'  

লেবাননভিত্তিক ইরানপন্থী হিজবুল্লাহ একইভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে। হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে এটিকে একটি প্রকাশ্য ও নির্লজ্জ আক্রমণ এবং সীমা লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর প্রতি মুসাভিরের সমর্থনের প্রশংসা করেছে তারা। 

ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস এবং হিজবুল্লাহ ইরানের সঙ্গে জোটবদ্ধ। এই দুই সংগঠনকে ইরান সহায়তা দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, মুসাভি সিরিয়ায় আইআরজিসির অন্যতম জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, সিরিয়া ও ইরানের মধ্যে যে সামরিক জোট গঠিত হয়েছে তার নেপথ্যে ছিলেন তিনি।

সিরিয়ার ১২ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সহায়তা করেছে ইরান এবং রাশিয়া। দেশটিতে স্থল সেনা সরবরাহ করেছে ইরান। এর ফলে যুদ্ধের প্রথমদিকে বিদ্রোহীদের কাছে হারানো অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন বাশার আল আসাদ। 

২৫ ডিসেম্বর, সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হন মুসাভি। সে সময় তিনি ইরানি দূতাবাস থেকে সাইয়িদাহ জয়নেব এলাকায় তার বাসভবনে যাচ্ছিলেন।  

সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেইন আকবরী জানিয়েছেন, মুসাভি ইরানি দূতাবাসের দ্বিতীয় উপদেষ্টা এবং একজন কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ছিলেন। তিনি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডটি সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের উপর একটি আঘাত।

অবশ্য আইআরজিসি এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব