ফের লজ্জার ব্যাটিং, লিড মাত্র ১০৮ রানের

মাত্র ১০৮ রানের লিড নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে হতাশার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করলো বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের অতিরিক্ত তাড়াহুড়ার মাশুল দিয়ে টানা দ্বিতীয় টেস্ট হারের মুখে দাঁড়ালেন তামিম ইকবালরা। ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের হার এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার। ক্রাইস্টচার্চে আজ অন্তত ১৯ ওভার খেলার সুযোগ পাচ্ছে কিউইরা। 

৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০০ রান করার আগেই বিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যান। ঠিক ১০০ রানে দাঁড়িয়ে বিদায় নেন আরো দুজন। সব মিলিয়ে ৩৫ রানের লিড নিতে নিতেই বাংলাদেশ হারায় ছয় উইকেট।

তামিম ইকবাল ইনিংসের শুরু থেকেই এলোমেলো খেলতে থাকেন। প্রথম ইনিংসে কিছু না করতে পারা বাংলাদেশ অধিনায়ক এ ইনিংসে আউট হন আট রান করে।

অতিরিক্ত তাড়াহুড়ার মাশুল দিয়েছেন সাকিবও। টিকতে পেরেছেন মোটে সাত বল। এর মধ্যে একবার ‘জীবন’ও পেয়েছেন তিনি। তারপরও ইনিংসটা ধরে রাখতে পারেননি আগের ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা সাকিব।

সাকিবের পর আউট হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানের ইনিংস খেলা সৌম্য ও মাহমুদুল্লাহও। সৌম্য এবার করেছেন ৩৬ আর রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান।

রিয়াদ এ ইনিংসে দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু লুজ শটও খেলেছেন তিনি। নিল ওয়েগনারের যে বলটিতে তিনি আউট হয়েছেন, সেটি প্রথমে লাগে তার ব্যাটে। তারপর ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প।

১০০ রানের আগে চার ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর, ঠিক ১০০ করার পর সাব্বিরকে হারায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই অস্থির ছিলেন সাব্বির।

একের পর এক বাজে শট খেলতে খেলতেই বিদায় নেন তিনি। ওয়েগনারের বাউন্সারে ব্যাট বাড়িয়ে দিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ১০০ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর চতুর্থ দিনের চা- বিরতি ঘোষণা করেন আম্পায়ার।

বিরতি থেকে ফেরার দুই বল খেলেই আউট হন অভিষিক্ত নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ইনিংসে তিনি ৪৭ রান করেছিলেন। এরপর সপ্তম উইকেটে জুটি বাধেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। যুবদলে দারুণ কিছু জুটি এ দুজনও বলার মতো কিছু করতে ব্যর্থ হন।

চমকে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তাসকিন আহমেদ। নবম উইকেটে এ দুজন ৫১ রানের জুটি গড়েন। দুজনেই খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তাসকিন ৩০ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে জুটিটি ভাঙে।

দলীয় ১৬৬ রানে তাসকিনের বিদায়ের পর বাংলাদেশ তুলে মাত্র আর সাত রান। ৫৩তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন রুবেল হোসেন। ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৭৩ রানে।

কিউইদের হয়ে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট এবং নিল ওয়েগনার তিনটি করে উইকেট নেন। বাকি একটি উইকেট নেন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। এই ম্যাচে ২০০ টেস্ট উইকেট পুরো করেন টিম সাউদি।