বাণিজ্যিক চুক্তি: সেরা পাঁচে মেসি-রোনালদো, শীর্ষে মাইকেল জর্ডান

টাইগার উডস, মাইকেল জর্ডান, লিওনেল মেসি, রজার ফেদেরার ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। নিজেদের খেলায় কিংবদন্তি তারা। কেবল মাঠের ভেতরে নয়, বাইরেও তাদের নিয়ে অনেক খেলা হয়। সেই খেলাটা মূলত বাণিজ্যিক। এসব খেলোয়াড়ের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রচার এবং প্রসারে সহায়তা করা। এটির জন্য মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকেন তারা।

ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্বের প্রভাবশালী বাণিজ্যিক চুক্তির শীর্ষ পাঁচে আছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ অংকের চুক্তি কোনটি আপনি জানেন? হয়ত জানেন না। ধারণা করতে পারেন মেসি কিংবা রোনালদো যে কোনো একজনের চুক্তিটাই সবচেয়ে বড় হবে। আপনার এই ধারণাটাও ভুল। সবচেয়ে বড় চুক্তিটা বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের। শুধু তাই নয়, তালিকার শীর্ষ দশে পাঁচজনই বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ফুটবল ও গলফ থেকে আছেন দুজন করে। টেনিসে কেবল একজন।

বুধবার সকালে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রচার করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। সেখানে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সবচেয়ে দামি ১০টি চুক্তির কথা বলা হয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে কিছু আছে সারা জীবনের জন্য। অর্থাৎ তারা অবসরে গেলেও প্রতিষ্ঠানের দূত হিসেবে কাজ করবেন। বাকিসব চুক্তিও দীর্ঘ মেয়াদি। অন্তত ১০ বছরের তো হবেই।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে দামি সেইসব চুক্তির তালিকা

১. মাইকেল জর্ডান (বাস্কেটবল): নাইকি, আজীবন মেয়াদি, ১.৩ বিলিয়ন ডলার।
২. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (ফুটবল): নাইকি, আজীবন মেয়াদি, ১ বিলিয়ন ডলার।
৩. লেব্রন জেমস (বাস্কেটবল): নাইকি, আজীবন মেয়াদি, ১ বিলিয়ন ডলার।
৪. লিওনেল মেসি (ফুটবল): অ্যাডিডাস, আজীবন মেয়াদি, ১ বিলিয়ন ডলার।
৫. টাইগার উডস (গলফ): নাইকি আজীবন মেয়াদি, ৪৯৯ মিলিয়ন ডলার।

৬. স্টিফেন কারি (বাস্কেটবল): আন্ডার আরমুর, দীর্ঘ মেয়াদি, ৪৭৩ মিলিয়ন ডলার।
৭. রজার ফেদেরার (টেনিস): ইউনিকলো: ১০ বছর মেয়াদি, ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
৮. কেভিন ডুরান্ট (বাস্কেটবল): নাইকি, আজীবন মেয়াদি, ৩০০ মিলিয়ন ডলার।
৯. ররি ম্যাকলারয় (গলফ): নাইকি, ১০ বছরের চুক্তি, ২০০ মিলিয়ন ডলার।
১০: জেমস হার্ডেন (বাস্কেটবল): অ্যাডিডাস, ১৩ বছরের চুক্তি, ২০০ মিলিয়ন ডলার।