লারার কাঁধে ‘ভেড়াল পাল’ রক্ষার দায়িত্ব

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবশেষ ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের সফরে টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল উইন্ডিজ। সিরিজ জয়ের স্মৃতিচারণ করতে চাইলে আরও পেছনে ফিরে তাকাতে হবে। সবশেষ ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ২-১ ব্যবধানে তাসমান পাড়ের দেশে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা।

ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাবেক তারকা

একবিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১৬টি সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলেছে উইন্ডিজ। এর মধ্যে ১৪টাতেই পেয়েছে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ। বাকি দুইটা ম্যাচ ড্র হয়েছে। দ্বীপ দেশের প্রতিনিধিদের সফলতা বলতে এতটুকুই।

এমন তিক্ত অতীত নিয়ে আরও একবার অস্ট্রেলিয়া মাটিতে গেছে উইন্ডিজ। সফরে ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি দুটি লম্বা দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলবে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল। এবারের সফরে যোগ হয়েছে আরও বেশকিছু বাড়তি শঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ায় সফর করা উইন্ডিজের এবারের দলটি বেশ অনভিজ্ঞ। অর্ধেকের বেশি ক্রিকেটারের এখনও টেস্ট অভিষেক হয়নি।

অনেকে তো আগে কখনও অস্ট্রেলিয়ায় খেলেননি। এমন একটি দল নিয়ে উইন্ডিজ যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজেদের পরিসংখ্যান বদলাতে পারবে না সেটা বলাই যায়। পরিসংখ্যান বদলানো তো দূরে থাক, অভিজ্ঞ প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস লাবুশান, মিচেল স্টার্কদের সামনে সফরকারীদের যে কি হাল হতে পারে সেটা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত নেটিজেনরা।

এমন একটি দলের অস্ট্রেলিয়া সফরকে ‘কসাইখানায় ভেড়ালের পাল’ পাঠানোর সঙ্গে তুলনা করেছেন সাবেক তারকা জেফ ডুজন। এবার সেই ভেড়াল পালকে দিক নির্দেশনা দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন উইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্রায়ান লারা।

অস্ট্রেলিয়া এবং উইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ শুরু হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি। আসন্ন সিরিজে ধারাভাষ্য দেবেন লারা। সেই সঙ্গে উইন্ডিজ দলের মেন্টর হিসেবেও দেখা যাবে তাকে। অর্থ্যাৎ পাঁচদিনের সিরিজে দ্বৈত ভূমিকায় দেখা যাবে লারাকে।