প্রথমবারের মতো লাল বানর (রেসাস) ক্লোন করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই প্রজাতির বানরের মানুষের সঙ্গে জিনগত মিল সবচেয়ে বেশি এবং তাদের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপও মানুষের মতোই। আর তাই এই বানর ক্লোনের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা গবেষণায় ব্যাপক সম্ভাবনার দাবি করছেন গবেষকরা। খবর বিবিসির।

clone monkeyপ্রথমবারের মতো রেসাস বানর ক্লোন করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা

চীনা গবেষকরা বলছেন, একটি রেসাস বানরে ক্লোন তৈরিতে সফল হয়েছেন তারা। ক্লোন প্রাণীটি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সুস্থ রয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ড. ফালং লু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই সফলতায় আমরা সবাই আনন্দে উদ্ভাসিত।

নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালের সাম্প্রতিক সংখ্যায় এক প্রতিবেদনে চীনের রেসাস বানর ক্লোনের সফলতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

চীনা গবেষকদের সফলতার দাবির অর্থ, দুই বছর আগেই রেসাস বানরের ক্লোন তৈরি করেছে তারা। চীন এর আগেও রেসাস বানর ক্লোন করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তখন ক্লোন করা হলেও তা জন্মদান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। প্রচেষ্টার কয়েক ঘণ্টা পরই ভ্রুণ মারা গেছে।

দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, রেসাস বানর ক্লোনের মাধ্যমে ওষুধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও গতিশীল হবে, কেননা জিনগত অভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী মেডিকেল পরীক্ষায় একই রকম ফলাফল দেয়, যা পরীক্ষণের নিশ্চয়তা বাড়ায়। এই ক্লোন হবে রোগ গবেষণায় মডেল।

১৯৯৬ সালে ডলি নামের ক্লোন ভেড়ার জন্ম দিয়ে গোটা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে তখন তুমুল আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয় পুরো বিশ্বে।

এরপর চীনা বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সালে জন্ম দেন বিশ্বের প্রথম ক্লোন বানরের। সেসময় ম্যাকক বানরের ক্লোন তৈরি করে চীনারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার লাল বানরের ক্লোন জন্ম দিলেন চীনের বিজ্ঞানীরা।

সাধারণত মানুষসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের যৌন প্রজননের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তানের ভেতরে তার পিতা ও মাতার জিনের সংমিশ্রণ থাকে। কিন্তু ক্লোনিং কৌশলে একটি একক প্রাণী থেকে জিনগতভাবে হুবহু আরেকটি প্রাণীর জন্ম হয়।

চীনের এই ক্লোনের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রাণী কল্যাণ গোষ্ঠী বলেছে, ক্লোনের এই উন্নয়নের জন্য তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কেননা, এর মধ্য দিয়ে এবার মানুষের ক্লোন করার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কেননা, লাল বানর জেনেটিক গঠনের দিক থেকে মানুষের খুব কাছের প্রাণী।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (আরএসপিসিএ) এর মুখপাত্র বলেন, সংস্থাটি বিশ্বাস করে প্রাণীর দুর্ভোগ মানব রোগীদের জন্য যে কোনও তাত্ক্ষণিক সুবিধার চেয়ে বেশি।

রেসাস বা লাল বানর মূলত এশিয়ার বন্য অঞ্চলে বিশেষ বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং চীন হয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির বানর মেডিকেল ল্যাবে সংক্রামক ব্যাধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গবেষণায় বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.