ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, বহু সেনা আহত

ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। হামলায় কয়েকজন ইরাকি সেনাও আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান-সমর্থিত একটি মিলিশিয়া বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় এই হামলা চালিয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

ইরাকের আল আসাদ ঘাঁটিতে অবস্থান করছে মার্কিন সেনারা

মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলেছে, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা আল আসাদ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট দিয়ে মার্কিন সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর দাবি, শনিবার নিক্ষিপ্ত বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো হয়েছিল কিন্তু কয়েকটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যুহ এড়িয়ে গিয়ে ঘাঁটিতে আঘাত হানে।

হামলায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা উল্লেখ না করলেও মার্কিন বাহিনী বলছে, এতে বেশ কিছু সংখ্যক মার্কিন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। অনেকে ‘মস্তিষ্কের ট্রমাটিক আঘাতের’ শিকার হয়েছেন।

আল আসাদ ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে ইরাকের নতুন একটি মিলিশিয়া বাহিনী ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’। গত কয়েক মাসে আল আসাদ ঘাঁটিতে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত এই বাহিনীটি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির তথ্য অনুসারে, এই গোষ্ঠীটি ২০২৩ সালের মাঝামাঝি আবির্ভূত হয়েছে এবং এটি ইরাকে থাকা বেশ কয়েকটি ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সংঘাত শুরুর পর থেকে এই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত বাহিনীর ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে এবং তাদের ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে শনিবার আল আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে।

ইরানের সামরিক বাহিনীও গত কয়েকদিনে ইরাক, সিরিয়া ও পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

তাছাড়া লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথিরা আন্তর্জাতিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। হুথিদের হামলা বন্ধ করতে সাগরে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ বাহিনী। এমনকি ইয়েমেনে হুথিদের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে শনিবার, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে একটি বিমান হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে ইরান। ওই হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর পাঁচজন সিনিয়র সদস্য নিহত হয়েছেন।