আবার হারল সিলেট, শীর্ষে উঠল রংপুর

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এই মৌসুমে প্রথম জয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে স্বস্তির জয়ের দেখা পেয়েছে সুরমা পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কিন্তু জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি তারা। আজ ঘরের মাঠে আবারও হেরে গেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাদের এবারের হার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে।

রংপুর রাইডার্সের উইকেট উদযাপন

রংপুরের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সিলেট। আজ রাতে ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের কাছে ৭৭ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে তারা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাত উইকেটে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তোলে রংপুর। জবাবে ম্যাচের ১৯ বল বাকি থাকতে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় মোহাম্মদ মিঠুনের সিলেট।

চলমান বিপিএলে এ নিয়ে সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হারল সিলেট। অন্যদিকে ছয় ম্যাচে চার জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সাকিব-সোহানদের রংপুর। তাদের সমান আট পয়েন্ট খুলনা টাইগার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। কিন্তু রানরেটে পিছিয়ে দুই ও তিনে নেমেছে তারা। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জেতা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আছে তালিকার চার নম্বরে।

ছয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। সাত ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরেই থাকল সিলেট স্ট্রাইকার্স। অবশ্য রংপুরের বিপক্ষে জিতলেও পয়েন্ট তালিকায় কোনো উন্নতি হতো না তাদের। জয় তো দূরের কথা, নিজেদের দর্শকদের সামনে রংপুরের সঙ্গে ন্যূনতম লড়াইটুকু করতে পারেনি সিলেট। রংপুরের দাপুটে পারফরম্যান্সের কাছে তারা ছিল অসহায়।

রংপুর দেড় শ; ছাড়িয়েছে বাবর আজম ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। দুজনই ব্যক্তিগত ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। ৩৭ বলে সাত চারে ৪৭ রানে আউট হন ওপেনার বাবর। ৩০ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রানে ফেরেন কিপার-ব্যাটার সোহান। এ ছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৪ বলে ২২ ও ফজলে মাহমুদ ২১ বলে ১৪ রান করেন।

শেষ দিকে শামীম হোসেন ছয় বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকিব আল হাসান মেরেছেন ‘গোল্ডেন ডাক’। সিলেটের পক্ষে চার ওভারে ১৪ রানে দুই উইকেট নেন সামিত প্যাটেল। তিন ওভারে ২৪ রানে দুটি শিকার হ্যারি টেক্টরের। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা, রেজাউর রহমান রাজা ও আরিফুল হক। সিলেটের উইকেট পাননি কেবল আবু হায়দার রনি।

কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ রানের মধ্যে ছয় উইকেট খুইয়ে বসে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলীয় ফিফটির আগে আরও এক উইকেট হারাতে হয় তাদের। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখে মান বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যান রায়ান বার্ল। ৩২ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৪৩ রানে ফেরেন তিনি। ২০ বলে ১১ রান এসেছে সামিতের ব্যাট থেকে। বাকি নয় ব্যাটার যেতে পারেননি দুই অংকে।

সিলেটকে এক শ’র আগে অলআউট করতে মূল ভূমিকা শেখ মেহেদি হাসান ও মোহাম্মদ নবির। দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট। তিন ওভারে ১৩ রান খরচ করেন মেহেদি। ২.৫ ওভারে ১৭ রান দেন নবি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া সাকিব অবশ্য বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন। চার ওভারে মেডেনসহ ১৮ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। একটি করে শিকার ওমরজাই ও হাসান মাহমুদের।