প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল রংপুর

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে জিতেই চলছে রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও ফর্ম ধরে রেখেছে দলটি। সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর। ঘরের মাঠে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানের পরাজয় মেনে নেয় চট্টগ্রাম। এই জয়ের মধ্য দিয়ে চলতি আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল রংপুর।

সাকিব (বামে) শেখ মেহেদি (মধ্যে) প্রিটোরিয়াস (ডানে)

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারায় দলটি। তবে দলের স্কোরবোর্ড সচল রাখেন রনি তালুকদার। কিন্তু দলীয় ৫২ রানে তিনিও ফেরেন সাজঘরে। ফেরার আগে ১৯ বলে ২৫ রান করেন রনি। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব। শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চড়াও হয় সাকিবের ব্যাট। দারুণ ব্যাটিংয়ে চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান সাকিব। এছাড়া শেখ মেহেদি হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩৪ রান। শেষ দিকে ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে অবদান রাখেন শামীম পাটোয়ারী। চট্টগ্রামের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।

রান তাড়ায় শুরুতেই খেই হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের অসাধারণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। চতুর্থ উইকেটে টম ব্রুস ও শুভাগত হোম লড়াইয়ের আভাস দিলেও জুটি বড় হতে দেননি শেখ মেহেদি। এক ওভারেই ব্রুস ও হোমকে ফেরান তিনি। দলীয় ৭৮ রানে পাঁচ উইকেট হারালেও চট্টগ্রামকে আশা দেখান শেফার্ড। একাই লড়াই চালিয়ে যান এই ক্যারিবিয়ান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। তবে মাঠ ছাড়ার আগে ৩০ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন শেফার্ড। রংপুরের হয়ে তিনটি উইকেট নেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।

আসরে ১০ ম্যাচে এটি রংপুরের অষ্টম জয়। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে অবস্থা করছে দলটি। অপরদিকে ১০ ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

রংপুর রাইডার্স - ১৮৭/৮ (২০ ওভার)
সাকিব আল হাসান ৬২, শেখ মেহেদি ৩৪, রনি তালুকদার ২৫; রোমারিও শেফার্ড ২৭/৩

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স - ১৬৯/৬ (২০ ওভার)
রোমারিও শেফার্ড ৬৬*, ব্রস ২৪; প্রিটোরিয়াস ১৪/৩, শেখ মেহেদি ১৭/২

ফল: রংপুর রাইডার্স ১৮ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: শেখ মেহেদি হাসান (৩৪ রান ও ১৭/২)