গাজার গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে জার্মান চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে মামলা

জার্মান আইনজীবীদের একটি দল জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটরের কাছে চ্যান্সেলর ওলাফ শলজসহ দেশটির জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গণহত্যাকে সহায়তা ও মদত দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওলাফ শলজ এবং নেতানিয়াহু

জার্মানিতে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার এই মামলা দায়ের করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ফিলিস্তিনিরা অভিবাসী হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে জার্মানিতে এসেছিল। ফিলিস্তিনি-জার্মান অভিবাসনবিষয়ক গবেষক নোরা রাগাবও এদের মধ্যে রয়েছেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক, অর্থনৈতিক এবং জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক, অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারে বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির ফেডারেল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। এই কাউন্সিল জাতীয় নিরাপত্তা নীতি নির্দেশ করে এবং অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদন করে থাকে। 

রাগাব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা, প্রবাসী ফিলিস্তিনিরা, আমাদের পরিবার এবং আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব না। আমরা এই গণহত্যা প্রতিরোধ করার জন্য সব ধরনের উপায় অবলম্বন করব। গাজার গণহত্যায় জড়িত থাকার জন্য জার্মান সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।'  

এই মামলা সমর্থন করেছে ইউরোপিয়ান লিগ্যাল সাপোর্ট সেন্টার, প্যালেস্টাইন ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক ল ফর প্যালেস্টাইন। যৌথভাবে লিখিত বিবৃতিতে সংস্থাগুলো বলেছে, ‘গাজা উপত্যকা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণে ইসরায়েলকে শক্তিশালী রাজনৈতিক ও বস্তুগত সমর্থন দিয়েছে যেসব রাষ্ট্র জার্মানি তাদের মধ্যে একটি।' 

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ৪ মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

সূত্র: আল জাজিরা