লাক্ষাদ্বীপ কি মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারবে, বাস্তবতা কী বলে?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক লাক্ষাদ্বীপ সফর এবং মালদ্বীপের সঙ্গে এর তুলনা টানার পর থেকে দুটি দেশের মধ্যে তীব্র বিতর্ক চলছে। মোদি লাক্ষাদ্বীপকে মালদ্বীপের বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানালেও, পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েছে।

লাক্ষাদ্বীপ

পরিসংখ্যান বলছে, মোদির সফরের পর লাক্ষাদ্বীপে পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। গত জানুয়ারিতে মোট ২,৩১২ জন যাত্রী লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে (২,২৫৩ জন) ছিল তার চেয়ে মাত্র ৫৯ জন বেশি।

লাক্ষাদ্বীপে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ জটিল। কেরলের কোচি ছাড়া ভারতের অন্য কোনও শহর থেকে সরাসরি ফ্লাইট নেই। কোচি থেকেও দিনে মাত্র একটি ফ্লাইট লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে।

তাছাড়া লাক্ষাদ্বীপের আকার খুব বেশি বড় নয়। মোদি যে বাঙ্গারাম দ্বীপে অবস্থান করেছিলেন, সেখানে থাকার জন্য মাত্র ৩৬টি রুম রয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে লাক্ষাদ্বীপের সব জায়গায় পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি নেই, কারণ এখানকার বাস্তুতন্ত্র খুবই ভঙ্গুর। অতিরিক্ত পর্যটক লাক্ষাদ্বীপের ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

লাক্ষাদ্বীপে নরেন্দ্র মোদি

এছাড়াও, প্রাকৃতিক কারণে লাক্ষাদ্বীপের সব জায়গায় পর্যটকদের প্রবেশাধিকার নেই। ফলে লাক্ষাদ্বীপের ৩৬টি দ্বীপ আসলেই মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বিপরীতে মালদ্বীপে পর্যটন ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত। সেখানে বিভিন্ন দামের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক সহজ।