প্রধানমন্ত্রী: মুসলিম দেশগুলো একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে পারে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন যে মুসলিম দেশগুলো তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মতো একটি সাধারণ মুদ্রা চালু করতে পারে। তিনি বলেন, এটা খুবই ভালো হবে, যদি আমরা, মুসলিম দেশগুলো আমাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি সাধারণ মুদ্রা চালু করতে পারি।

ছবি - সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তুরস্কের বাণিজ্য উপমন্ত্রী মোস্তফা টিজকু-এর নেতৃত্বে ডি-৮ বাণিজ্যমন্ত্রীদের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের আটটি জনবহুল মুসলিম দেশকে নিয়ে ডি-৮ গঠন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি এই দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বন্ধুত্বের উন্নতি ঘটানো।

‘আমার লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের ভাগ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা এবং এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা আমাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারব,’ যোগ করেন তিনি।

ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর এর জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের মধ্যে বাণিজ্য উন্নত করতে পারি তাহলে আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের কথা বলতে গিয়ে বলেন, তাদের এক-দুটি প্রজন্ম হারিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের অনেকেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

তিনি তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্তমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এটি দিন দিন কঠিন হয়ে ওঠছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডি-৮-এর উচিত ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিবারের মতো একসঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের ভাগ্যের উন্নতির জন্য একে অপরকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া।

বৈঠকের মূল এজেন্ডা ছিল ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন এবং এর কার্যকারিতার ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করা।

প্রতিনিধি দল বলেছে যে বৈঠকে তারা ডি-৮ সদস্য দেশগুরোর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে বানিজ্যিক লেন-দেনের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এখন ১৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের, রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা ও খাওয়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেছেন যে ডি-৮ এবং মুসলিম দেশগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ডি-৮ মন্ত্রীরা গাজার পক্ষে শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রশংসা করেন।