জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রথমবারের মতো রমজান উদযাপনে আলোকসজ্জা

জার্মানির পঞ্চম বৃহত্তম শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রথমবারের মতো রমজান মাস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি শান্তি ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি উদ্যোগ। খবর ইউরো নিউজ।

ফ্রাঙ্কফুর্টের রাস্তায় আলোকসজ্জা

ফ্রাঙ্কফুর্টের ‘গ্রোসে বকেনহাইমার স্ট্রাসে’ সড়কে এই আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শুধু পথচারীদের জন্য ব্যবহৃত এই সড়কের দুপাশে অনেক হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এ কারণে এ সড়কটি ‘ফ্রেসগাস’ বা খাবার সড়ক নামেও পরিচিত। রমজানের পুরোটা সময় ইংরেজিতে ‘রমজান স্বাগতম’ লেখা লাইটিং, অর্ধচন্দ্র, তারা, বাতিসহ অনেক কিছু দিয়ে সাজানো থাকবে। 

জানা গেছে, ফ্রাঙ্কফুর্টের ‘গ্রোসে বকেনহাইমার স্ট্রাসে’ সড়কে এই আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শুধু পথচারীদের জন্য ব্যবহৃত এই সড়কের দুপাশে অনেক হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। এ কারণে এ সড়কটি ‘ফ্রেসগাস’ বা খাবার সড়ক নামেও পরিচিত। এ সড়কটিই রমজানের পুরোটা সময় ইংরেজিতে ‘রমজান স্বাগতম’ লেখা লাইটিং, অর্ধচন্দ্র, তারা, বাতিসহ অনেক কিছু দিয়ে সাজানো থাকবে।

লন্ডনের অনুপ্রেরণায় এবার ফ্রাঙ্কফুর্টের আলোকসজ্জা

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিটি কাউন্সিলর ওমর শেহাতার কাছ থেকে এ আলোকসজ্জার ধারণাটি এসেছে। তিনি বলেন, গত বছর রমজানকে স্বাগত জানাতে লন্ডনের একটি রাস্তায় যেভাবে আলোকসজ্জা করা হয়েছিল, তা থেকে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ফ্রাঙ্কফুর্টের মেয়র নারগেস এস্কান্দারি গ্রুনবার্গ বলেন, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও সংকটের সময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দেওয়া খুবই জরুরি। রমজান মাসে সড়কে যে আলো জ্বালানো হবে সেগুলো হলো কুসংস্কার, বৈষম্য, মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ঐক্যের আলো।

এ আলোকসজ্জার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের ৭৫ হাজার ইউরো খরচ হবে।

মুসলিমদের সমন্বয়কারী কাউন্সিলের ফ্রাঙ্কফুর্ট শাখা এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে। ফ্রাঙ্কফুর্টের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা মোহামেদ সেদ্দাদি বলেছেন, এটা মুসলমানদের জন্য অনেক অর্থবহ বিবেচিত হবে।

তবে জার্মানির পার্লামেন্টের বিরোধী দল খ্রিষ্টীয় গণতান্ত্রিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) ফ্রাঙ্কফুর্টের প্রতিনিধি ইয়ানিক শ্ভান্ডার বলেছেন, ক্রিসমাসের সময় ফ্রাঙ্কফুর্টে যে আলোকসজ্জা করা হয়, তার খরচ বিভিন্ন সংগঠনের অনুদান থেকে আসে। সড়ক আলোকসজ্জার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের অর্থ বরাদ্দ কেবল একটি ধর্মের জন্য থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মেয়র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ক্রিসমাসের সময় শহর কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে আরও অনেক বেশি অর্থ খরচ করে থাকে।

উল্লেখ্য, ফ্রাঙ্কফুর্ট জার্মানির পঞ্চম বৃহত্তম শহর। এতে প্রায় আট লাখ মানুষের বাস, যাদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ বাসিন্দা (এক লাখ ২০ হাজার) মুসলিম।