ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা মারওয়ান ঈসা নিহত

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা মারওয়ান ঈসা। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। তবে ঈসার মৃত্যুর খবরে কোনো মন্তব্য করেনি হামাস। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

হামাসের সশস্ত্র শাখার ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ঈসা (গোলচিহ্নিত)

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন ঈশা। গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা শুরুর পর নিহতদের মধ্যে ঈসা হচ্ছেন হামাসের সর্বোচ্চ শীর্ষ নেতা।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত আল-নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে গত ১১ মার্চ রাতে হামলায় নিহত হয়েছেন ঈসা। শরণার্থী শিবিরটির ভূগর্ভস্থ একটি টানেল লক্ষ্য করে ওই হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ভূগর্ভস্থ টানেলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে মারওয়ান ঈসা। সম্ভবত হামাসের অন্যান্য নেতারাও গাজাযর টানেল নেটওয়ার্কের ভেতরে লুকিয়ে আছেন।

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদ্বীন আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার ঈসা ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’দের একজন। ঈসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সন্ত্রাসী কালো তালিকাভুক্ত অন্যতম হামাস নেতা।

ঈসা প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার সময় পাঁচ বছরের জন্য ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ছিলেন। এছাড়া ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরুর আগ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতেও আটক ছিলেন তিনি।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসের যে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে তিনজন ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন, ঈসা তাদের একজন।

হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন ওই হামলায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ১১৩৯ জন নিহত হয়। আরও ২৪০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস।

প্রতিশোধ নিতে ওইদিনই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৩ হাজার আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।