গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩১ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১৪ হাজার শিশু রয়েছে। ১৯ মার্চ, মঙ্গলবার হামাস পরিচালিত গাজার মিডিয়া অফিস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা

মিডিয়া অফিস একটি নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ২ হাজার ৮০৭টি গণহত্যা করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে,  নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ হাজার ২২০ জন নারীও রয়েছে। এছাড়া ৭ হাজার মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে বা নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে গাজায় নিহতদের মধ্যে ৩৬৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৪৮ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং ১৩৫ জন সাংবাদিক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের ৭২ শতাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েল অবরুদ্ধ অঞ্চলে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ায় অপুষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ২৭ জন মারা গেছে।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কারণে প্রায় ১৭ হাজার শিশুই বাবা-মায়ের একজনকে অথবা কেউ কেউ দুইজনকেই হারিয়েছে। গুরুতর আহত ১১ হাজার ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে নেওয়া দরকার। এছাড়া অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার কারণে ১০ হাজার ক্যান্সার রোগী এবং ৬০ হাজার গর্ভবতী নারী মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।    

এদিকে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকায় ৭০ হাজারের বেশি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ২ লাখ ৯০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।  

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৬৮ টি সরকারি স্থাপনা এবং ১০০টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেছে। ৩০৫টি স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২৯০টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মসজিদগুলোর মধ্যে ২২৪টি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার ১৫৫টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি