২৫ মার্চ কালরাতে ১ মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাক আউট

বাঙালী জাতির ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল কালরাত ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের সেই বিভীষিকার রাত স্মরণে আগামী ২৫ মার্চ সোমবার রাতে সারা দেশে পালন করা হবে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’।

ভয়াল কালরাত ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গণহত্যা দিবস পালনে ২৫ মার্চ সোমবার রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে আলো নিভিয়ে দেওয়া  হবে। প্রতীকীভাবে তেপ্পান্ন বছর আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিভীষিকাময় রাতটি স্মরণ করবে বাংলাদেশ। তবে কেপিআইভুক্ত ও জরুরি স্থাপনা এই প্রতীকী কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকনির্দেশনা পেয়ে দেশের মুক্তিকামী আপামর জনতা উজ্জীবিত হয়ে উঠে। অন্যদিকে বাঙালী জাতি নিধনযজ্ঞের প্রস্তুতি নেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ২৫ মার্চ রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে শুরু করে গণহত্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা চলে। শুধু ঢাকায়ই ৭ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয় ওই একরাতে।

সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে, ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়াও স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এদিন গণহত্যার স্মৃতিচারণা করবেন। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।

এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময়ে দেশের সব মসজিদে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে হবে প্রার্থনা।

গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে।