ওষুধ ও খাবারের অভাবে গাজায় এক ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যু

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজায় তাদের হাতে আটক এক ইসরায়েলি জিম্মি ওষুধ ও খাবারের ঘাটতির কারণে মারা গেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। খবর আনাদোলু।

হামাসের বন্দি হস্তান্তর (ফাইল ছবি)

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে আল-কাসাম এক ভিডিও বার্তায় জানায়, ওষুধ ও খাবারের ঘাটতির কারণে আমরা ইসরায়েলি জিম্মি ইয়েজিভ বুখাত্তাফের (৩৪) মৃত্যু ঘোষণা করছি। আমরা আগেই সতর্ক করে বলেছিলাম, আমাদের হাতে আটক বন্দিরা আমাদের জনগণের মতো একই পরিস্থিতি ভোগ করছে। আমাদের জনগণের মতো ক্ষুধা, বঞ্চনা, খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অসুস্থতা এখন তাদের অনেকের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

ওই ভিডিওতে আল-কাসাম আরও জানায়, এর আগে ইসরায়েলি হামলা থেকে ইয়েজিভ বুখাত্তাফ বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতির কারণে মৃত্যু থেকে তিনি বাঁচতে পারেননি।

গাজা এখন মৃত্যুর নগরী

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। এ সময় তারা সার্বিক অবরোধ আরোপ করে গাজাকে চারপাশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এর ফলে গাজায় এখন খাদ্য, পানীয়, চিকিৎসা সামগ্রী বলতে কিছুই নেই। গাজার অনেক লোকজন এখন পশুখাদ্য, ঘাস খেয়ে জীবন ধারণের চেষ্টা করছে। কিন্তু খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতির কারণে প্রতিদিনই অসংখ্য লোক নিহত হচ্ছে। জাতিসংঘ গাজায় বড় আকারের দুর্ভিক্ষের ব্যাপারেও সতর্ক করেছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭২ হাজারের বেশি। এসব হতাহতের অধিকাংশ নারী ও শিশু। অব্যাহত হামলায় গাজা প্রায় পুরোটা ধ্বংসস্তূপের পরিণত হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি দিতে তাদের কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে জিম্মি মুক্তির বিষয়টিও থাকছে। তবে তাতেও খুব বেশি সফলতা আশা করা যাচ্ছে না।