ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশগুলো

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশগুলো। ১ এপ্রিল, সোমবার ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।

ছবি - সংগৃহীত

ইরান জানিয়েছে, এই হামলার ফলে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ৭ সদস্য নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কুদস ফোর্সের দুই জন সিনিয়র কমান্ডারও রয়েছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, এই হামলা ইসরায়েল করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর ফলে ছয় সিরীয়সহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, ইসরায়েল  কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে যুক্ত  লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা করে যাচ্ছে। তবে দেশটি কখনোই হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেনি। 

মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই হামলার পেছনে ইসরায়েল ছিল।

এদিকে ইরানের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রিয়াদ কোনো ন্যায্যতার জন্য এবং যেকোনো অজুহাতে কূটনৈতিক মিশনকে লক্ষ্যবস্তু করাকে স্পষ্ট প্রত্যাখ্যান করছে। এটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আইনের লঙ্ঘন।   

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, কূটনৈতিক মিশনে হামলা আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং কূটনৈতিক নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

তবে সৌদি এবং কাতারের বিবৃতিতে এই হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়নি। ইরানি কনস্যুলেটে হামলার পর নিন্দা জানিয়ে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানেও ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।  

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুফিয়ান আল-কুদাহ বলেছেন, কনস্যুলেটকে লক্ষ্যবস্তু করা আন্তর্জাতিক আইন এবং ভিয়েনা কনভেনশনের        গুরুতর লঙ্ঘন।  

মিশর, ওমান, কুয়েত, লেবানন এবং ইরাক দামেস্কের হামলার নিন্দা করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইরানি কূটনৈতিক মিশন লক্ষ্য করে হামলার নিন্দা করে এক বাক্যের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ বলেছেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে দামেস্ক এবং তেহরানের মধ্যে সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারবে না ইসরায়েল। 

উল্লেখ্য, সোমবার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এর ফলে আইআরজিসির ৭ জন সদস্য নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে এলিট ফোর্স কুদসের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং তার সহযোগী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রহিমিও রয়েছেন। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব