ত্রাণকর্মীদের ওপর ইসরায়েলের হামলা: ফিরে যাচ্ছে সাইপ্রাসের ত্রাণবাহী জাহাজ

যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের লোকজনকে ত্রাণ দিতে সাইপ্রাস থেকে একটি জাহাজ এসেছিল গাজা উপকূলে। ইসরায়েলি হামলায় সেই জাহাজের সাত কর্মী নিহত হলে ত্রাণের পণ্য পুরোপুরি খালাস না করেই ফিরে যাচ্ছে জাহাজটি। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্স।

ত্রাণ বিতরণ না করেই ফিরে যাচ্ছে সাইপ্রাসের জাহাজ

খবরে বলা হয়, গাজাবাসীদের জন্য ২৪০ টন ত্রাণ নিয়ে সাইপ্রাস থেকে একটি জাহাজ সম্প্রতি গাজা উপকূলে ভেড়ে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নাগাদ জাহাজটি থেকে ১০০ টনের মতো ত্রাণসামগ্রী খালাস করা হয়। এসব ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে ছিল ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। ইসরায়েলি হামলায় সংস্থাটির অন্তত সাত কর্মী নিহত হন। তারা দেঈর আল বালাহর একটি গুদামে ত্রাণ রেখে গাড়িতে করে জাহাজে ফিরছিলেন। তখনই তাদের ওপর হামলা হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার যৌথ এবং ফিলিস্তিনি নাগরিক। শুধু যুক্তরাজ্যেরই তিন কর্মী নিহত হন।

সাইপ্রাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র থেদোরোস গোতসিস জানান, সাইপ্রাসের লার্নাকা বন্দর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপকূল বরাবর একটি সামুদ্রিক পথ তৈরি করা হয়েছিল। এই পথ দিয়ে দুর্ভিক্ষকবলিত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে সাইপ্রাস থেকে ২৪০ টন ত্রাণবাহী একটি জাহাজ গাজা উপকূলে ভেড়ে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার আগে জাহাজটি থেকে অন্তত ১০০ টন ত্রাণ খালাস করা হয়েছে। কিন্তু বিদেশী ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে আরও হামলার শঙ্কায় জাহাজটি এখন ত্রাণের পণ্য পুরোপুরি খালাস না করেই দেশে ফিরে যাচ্ছে।

এদিকে বর্বর এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের সেনা সদস্যরা ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। এ ঘটনায় ইসরায়েল ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।