লিটন-শান্তদের একহাত নিলেন প্রধান নির্বাচক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে বিব্রতকর হারের পর বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই। গতকাল বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস মিডিয়ার মারফত জানতে চেয়েছেন, কেন তারা কোন ইনিংসেই চার শ' রান করতে পারল না। একই ইস্যুতে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

বিসিবি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১৮৮ ও ১৮২ রান। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৭ রান এসেছিল মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। ম্যাচটিতে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরে স্রেফ খড়কুটোর মত উড়ে গেছে স্বাগতিকেরা। এরপর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আবারও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। তাতে প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রান করা টাইগাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮১ রান করেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় টেস্টে ১৯২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হন চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

সিরিজে ব্যাটারদের ধারাবাহিক এই ব্যর্থতার বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখেননি প্রধান নির্বাচক লিপু। শুক্রবার মিরপুরে তাদের একহাত নিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। লিপু বলছিলেন, ‘আমাদের ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরনগুলো ভালো ছিল না। থিতু হওয়ার আগে কেউ কেউ আউট হয়েছেন, যে বলগুলো তারা ছেড়েও দিতে পারতেন, তাদের অফ স্টাম্প কোথায় আছে সেটা জানলে হতো বলগুলো তারা তাড়া করতেন না। প্রথম বলেই কেউ কেউ (ব্যাট) চালিয়ে দিয়েছেন। ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে অনেক ত্রুটি দেখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বোলাররা অ্যাঙ্গেল ক্রিয়েট করে বারবার আমাদের পরাস্ত করছেন, এটা এই সিরিজেই প্রথম হয়নি। আমার মনে হয় এটান পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এটাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। যে গর্তটা তৈরি হয়েছে, তা ঢেকে দেওয়া উচিত। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে যারা তত্ত্বাবধায়ক আছেন, তারা তত্ত্বাবধান করবেন। আমারা বিষয়টায় আলোকপাত করব, যারা বিশ্লেষক আছেন, তারা ড্রপবক্সে তাদের পৌঁছে দেবেন, কোথায় কোথায় তাদের দুর্বলতা ছিল।’

অবশ্য ব্যাটারদের একহাত নিলেও বোলারদের প্রাপ্য প্রশংসা করতে ভোলেননি এই টাইগার প্রধান নির্বাচক। কারণটিও কম সঙ্গত নয়, সিলেট টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দুই ইনিংসের শুরুতেই তাদের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়ে কিছু সময়ের জন্য হলেও ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছেন বোলাররা। চট্টগ্রাম টেস্টেও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। লিপু যথার্থই বলেছেন, ‘একটা বিষয় আপনাদের নজরে আনতে চাই, আমাদের ব্যাটারদের ডিফেন্ড করার জন্য বলছি না। কিন্তু আপনি যদি দেখেন, দুই টেস্টে চারটা ইনিংসে প্রত্যেকটা দলই খেলেছে। দুই টেস্টেই দেখবেন শ্রীলঙ্কার প্রথম পাঁচ উইকেট আমরা দ্রুত তুলে নিতে পেরেছি। এতে আমাদের বোলারদের সাধুবাদ দিতে হয়, শ্রীলঙ্কান টপ অর্ডারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে কিন্তু!’