খালেদ মাহমুদ: জাতীয় দলের চেয়ে আমার আবাহনী শক্তিশালী

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উড়ছে আবাহনী লিমিটেড। তাওহীদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, লিটন দাস ও শরিফুল ইসলামের মত জাতীয় দলের এক ঝাঁক তারকা খচিত বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা লিগের নয় ম্যাচের শতভাগ জয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে আরেকটি শিরোপার সুবাস ইতোমধ্যেই পেতে শুরু করেছে। তাদের পারফরমেন্স খালেদ মাহমুদকে এমনই আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে তিনি আবাহনীকে জাতীয় দলের চেয়েও শক্তিশালী বলেই বিবেচনা করছেন।

খালেদ মাহমুদ সুজন

কথাটি নাকি শনিবার ফতুল্লায় ডিপিএলে ম্যাচ চলাকালীন জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে বলছিলেন। শান্তও তাতে বাধ সাধেননি। কেননা তিনি বেশ ভাল করেই জানেন, ঢাকাই ক্লাবে খালেদ মাহমুদ এক অপ্রতিরোধ্য নাম, যার অধীনে টানা তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে আকাশী-নীলেরা এবং আরেকটির খুব কাছে। রোববার মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমি কালকে শান্তকে হাসতে হাসতে বলছিলাম, তোর জাতীয় দল থেকে আমার আবাহনী এখন স্ট্রং (শক্তিশালী)। সুতরাং যারা আবাহনীর জন্য প্রতিদিন অনুশীলন করছে, পারফর্ম করছে, তাদের ফেলে দেওয়া সহজ নয়।’

হ্যাঁ, সত্যিই তো, কাকে রেখে কাকে ফেলবেন খালেদ মাহমুদ? প্রতিটি নামই তো স্বমহিয়া উজ্জল। এমন কী যে লিটন দাসকে নিয়ে এই মুহুর্তে দেশের সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে সেই তাকেও তিনি পরম মমতায় আগলে রাখছেন। কেনই বা রাখবেন না?  টানা দুইটি বছর লিটন ব্যাট হাতে যেভাবে রানের ফল্গুধারা বইয়েছেন, তা তার থেকে ভাল আর কে জানে? ফলে অযুত সমালোনা সত্বেও লিগের শেষ ছয়ে লিটনকে খেলাতে কোন আপত্তি নেই আবাহনী প্রধান কোচের।

‘লিটন একটা বিরতি চেয়েছে। তার দিনে লিটন সেরা প্লেয়ার। আমি সবসময় লিটনের ব্যাটিং অনেক পছন্দ করি। ওর ব্যাটিং দেখা অন্যরকম ব্যাপার। মেন্টালি হয়তো ব্লক আছে। রান করেনি। যদি আমার ওই ফ্ল্যাক্সিবলিটি না থাকত তাহলে হয়তো আমি লিটনকে এই ব্রেকটা দিতাম না। ফ্ল্যাক্সিবলিটি আছে, আমাদের যে ব্যাটিং অর্ডার…আমি মনে করে একটা বিরতি নিয়েই আসুক। তাকে সুপার লিগ থেকে পাব আশা করছি।’

আবাহনীর সমান সংখ্যক ম্যাচ (৯টি) খেলে ৭ জয় ও ২ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে শেখ জামাল ধানম্ডি ক্লাব ও সমান সংখ্যক ম্যাচ, জয় ও হারে সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে তিনে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।