ওবায়দুল কাদের: গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বিএনপির

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির গণতন্ত্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। বরং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ দলটিই প্রধান অন্তরায়।

ওবায়দুল কাদের, ফাইল ছবি

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র-হন্তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন বুঝতে হবে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। এটা তাদের কুমির-কান্না ছাড়া কিছু নয়। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে জন্ম নিয়েছে এবং একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনার অধীনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু তা না করে তারা বরাবরের মতোই বিদ্বেষপরায়ণ মন্তব্য করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালের 'হ্যাঁ-না' ভোটের নামে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়াও জিয়াউর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিলেন। তিনি 'মিরপুর এবং মাগুরা' ধাঁচের কারচুপিপূর্ণ উপনির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজিজ-ধরনের নির্বাচন কমিশন গঠন করে এবং নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সম্বলিত ভোটার তালিকা তৈরি করেছিল।

বিএনপি 'অপারেশন ক্লিন হার্ট'-এর নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের জঘন্যতম নজির স্থাপন করেছিল বলেও তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।