কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে বৈধ বললেন দিল্লির হাইকোর্ট

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট। এর মাধ্যমে আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা বৈধ ছিল বলে জানিয়ে দেওয়া হলো। তবে কেজরিওয়ালের জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা বাতিল হয়ে যায়নি। খবর এনডিটিভি।

কেজরিওয়াল

দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার এবং নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু সে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় আপাতত কারা হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।

অবশ্য মঙ্গলবার আদালত কেজরিওয়ালের যে মামলার রায় দিয়েছেন তার সঙ্গে জামিনের আবেদনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানা গেছে। কারণ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর যে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, সেটি ছিল ইডির গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়ে। তার আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন, আপ নেতাকে গ্রেপ্তার করাটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। পরিকল্পনা করেই নির্বাচনের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দিল্লি হাইকোর্ট

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার বেঞ্চে গত ৩ এপ্রিল কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি হয়েছিল। তবে সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সেই রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা ইডির গ্রেপ্তারকে বৈধ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ইডি আদালতে যেসব নথি পেশ করেছে তাতে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলার সুযোগ নেই। সংস্থাটি মদকাণ্ডে কেজরিওয়ালের যুক্ত থাকার উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণই পেশ করেছে।

তবে কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা দাবি করছেন, ইডি কেজরিওয়ালের আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। অথচ মামলাটিই করা হয়েছে বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে। এখন তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি (মদকাণ্ড) মামলায় গত ২১ মার্চ রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বিষয়ে জেরা করার জন্য কেজরিওয়ালকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু কেজরিওয়াল রাজনৈতিক জেরা বলে বারবারই সেগুলো এড়িয়ে গিয়েছিলেন। অবেশেষ ২১ মার্চ দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ইডি ।

গ্রেপ্তারের পর দিল্লি কোর্টে হাজির করা হলে আদালত কেজরিওয়ালকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।