ইসরায়েলে হামলা: সংযম প্রদর্শনের আহ্বান আরব দেশগুলোর

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল, রোববার ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আরব দেশগুলো। মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন আরব নেতারা।

ইসরায়েলে ইরানের হামলা

রোববার ইসরায়েলের তেল আবিব, জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে হামলা করেছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের মিত্ররাও এই হামলায় যোগ দিয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরাও ইসরায়েলে ড্রোন ছুড়েছে। এছাড়া লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে, তারা দখলকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি অবস্থানে রকেট নিক্ষেপ করেছে।

গাজা যুদ্ধে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। দেশটি ইসরায়েলে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সকল পক্ষকে উত্তেজনা বন্ধ করার এবং সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করতে এবং উত্তেজনা কমাতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কাতার।

গাজা যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মিশরও রয়েছে। মিশরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই হামলায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং সর্বোচ্চ সংযমের আবেদন করেছে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এই সংঘাতের আঞ্চলিক সম্প্রসারণের ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিশর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে এবং সংঘাতের সকল পক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আয়মান সাফাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা রোধ করতে হবে। এটি পুরো অঞ্চলকে যুদ্ধের অতল গহ্বরে ঠেলে দিতে পারে।' 

এদিকে সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং এই অঞ্চলের জনগণকে যুদ্ধের বিপদ থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।  

এছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তার দায়িত্ব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা করে ইসরায়েল। এর ফলে ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ৭ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমি ছিলেন। এরা আইআরজিসির বিদেশি অপারেশন শাখা আল-কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার ছিলেন। সে সময় এই হামলার পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।

সূত্র: দ্য নিউ আরব