ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র!

ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার পর ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে দেশটি। মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ, ফাইল ছবি

অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে এক ডজনেরও বেশি খসড়া আইনে ভোটাভুটি হবে। এতে ইসরায়েলে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরান এবং ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট উভয় দলের আইনপ্রণেতারা ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।  

ইসরায়েলের ওপর ইরানের সাম্প্রতিক আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা সম্পূরক তহবিল সম্পর্কিত সপ্তাহের প্রথম ভোটের আগে ১৫ এপ্রিল, সোমবার সন্ধ্যায় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা বৈঠক করতে যাচ্ছেন।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। ইরান ও মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইরানি আমদানি এবং লেনদেন সীমাবদ্ধ করতে হবে। এছাড়া ইরান থেকে তেল কেনা চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। 

এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অনুরোধ করার প্রস্তাবও রয়েছে। এছাড়া ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি,প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ স্লোগানটিকে ইহুদিবিরোধী বলে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল, রোববার ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা করে ইরান। এটি ছিল ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথমবার ইরানের সরাসরি আক্রমণ। এর আগে ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা করেছিল ইসরায়েল। এর ফলে আইআরজিসির ৭ জন সদস্য নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে এলিট আল-কুদস ফোর্সের দুজন কমান্ডার ছিলেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলে পাল্টা হামলা করে ইরান।

সূত্র: দ্য নিউ আরব