বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচক: ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪১তম

স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানের পেছনে। ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যেখানে যথাক্রমে ১০৪তম ও ১১৩তম, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। তবে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দুটি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনের (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফল জানাতে ‘সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলন’-এর আয়োজন করে। সেখানে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া ও থিংক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি কেন্দ্রের ‘ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধি সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসচ্ছল’ এবং স্বাধীনতা সূচকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরাধীন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি সূচক

২০২৩ সালের জন্য করা এ তালিকায় সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম। এ তালিকায় ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১৪৬তম ও ১৫০তম। সমৃদ্ধি সূচকের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষাসহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ১৪১তম। এ সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ১০৪তম ও ১১৩তম। এ সূচকের তালিকা করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি অবস্থা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশে শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করা হয়, সেসব দেশে তুলনামূলকভাবে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসে। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ। আবার এ বিষয়টিই দেশটি বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন। প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে স্বাধীনতা কম, সেখানে সমৃদ্ধিও কম থাকে। একটি দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পরিস্থিতিকে উন্নত করে একটি শক্তিশালী আইনি পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি স্বাগত জানাতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, সমস্যা এড়িয়ে যাওয়াতে কোনো সমাধান নেই, বরং সমস্যা সক্রিয়ভাবে স্বীকার করা এবং তা মোকাবেলাই মূল বিষয়।