নারিন তাণ্ডব ম্লান করে রাজস্থানের নায়ক বাটলার

সুনিল নারিনের ব্যাটিং তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের। রান তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন জট বাটলার। তাতেই জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

দুইজনই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গতকাল কলকাতাকে দুই উইকেটে হারিয়েছে রাজস্থান। ইডেন গার্ডেন্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে ২২৩ রান জড়ো করে স্বাগতিকরা। জবাবে শেষ বলে জয় তুলে নেয় রাজস্থান। এটা কোটি টাকার টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।

রাজস্থানের হয়ে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাটলার। ৬০ বলে নয় চারের পাশাপাশি ছয়টি ছয় মারেন ইংলিশ তারকা ব্যাটার। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। রাজস্থানকে জেতাতে বাটলার কতটা দৃঢ়তা দেখিয়েছেন সেটা বোঝার জন্য এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট।

নারিনের করা ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন রোভম্যান পাওয়েল। সেই সঙ্গে সব স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের হারায় রাজস্থান। তখনও জেতার জন্য সফরকারীদের দরকার ছিল ১৯ বলে ৪৬ রান। ৪২ বলে ৬৭ রান নিয়ে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন বাটলার।

প্রবল চাপ এবং কঠিন হওয়া সত্যেও কলকাতার হাত থেকে ম্যাচ বের করে এনেছেন বাটলার। রাজস্থানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রিয়ান পরাগ। ২৬ রান করেন পাওয়েল। কলকাতার হয়ে হারশিত রানা, নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী তুলে নেন দুটি করে উইকেট।

বাটলারের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তার কারণে ম্লান হয়েছে নারিনের ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংসটি। এই ইনিংস খেলতে ১৩ চার এবং ছয়টি ছয় হাঁকান ক্যারিবিয়ান তারকা। এটা আইপিএলে ক্যারিয়ার তথা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে নারিনের প্রথম শতক।

নারিন ছাড়াও কলকাতাকে ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছেন কেবল রঘুবংশী ও রিংকু সিং। ১৮ বলে ৩০ রান করেন রঘুবংশী। রিংকুর ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন কুলদীপ সেন ও আভেশ খান।