বাদশাহ আবদুল্লাহ: ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠবে না জর্ডান

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তার দেশ ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে না। ১৬ এপ্রিল, মঙ্গলবার তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ১৪ এপ্রিল ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছিল জর্ডান। পরবর্তীতে ইরান জর্ডানে হামলার হুমকি দেওয়ার পর এই কথা বলেছেন তিনি।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ

বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জর্ডানের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্যান্য সকল কিছুর ঊর্ধ্বে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখা এবং জর্ডানবাসীর নিরাপত্তাকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। জর্ডানের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলকে রক্ষা করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা।

মঙ্গলবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে গাজা থেকে বিশ্ববাসীর মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত নেতানিয়াহুকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার জন্য চেষ্টা করা। 

বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাফাদি বলেছেন, ‘ইরান তার কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে যে তারা আরো উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। আমরা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিপক্ষে। নেতানিয়াহু গাজা থেকে দৃষ্টি সরাতে ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।' 

এদিকে ইরানের হামলা ইসরায়েলে সামান্য ক্ষতি করেছে। এতে ৭ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু আহত হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জর্ডানের সহায়তায় ভূপাতিত করা হয়েছে। 

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে আক্রমণ করে ইরান। ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য জর্ডানকে পরবর্তী টার্গেট করা হবে বলে সতর্ক করেছে দেশটি। 

সূত্র: এএফপি