আন্দোলনে ‘নতুন কৌশল’ খুঁজছে বিএনপি

সরকারবিরোধী আন্দোলন পুনর্গঠনে নতুন কোনো কৌশল খুঁজছে রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা বিএনপি। দলটির ভেতরে এবং যুগপত আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফের সঙ্গে গুলশানের বাসভবনে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আন্দোলনে গিয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ঘিরে ও পরবর্তীতে সহিংসতার জের ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ শত শত নেতাকর্মী কারাবন্দি হন।

দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেরিয়ে আসেন ফখরুল। এরপর থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন কোন কৌশল নিয়ে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হওয়া যায়।

নতুন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খন্দকার মোশাররফের গুলশানের বাসভবনে হাজির হন মির্জা ফখরুল। সেখানে ঘণ্টাখানেক নানা বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন দুই নেতা।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মূলত ড. খন্দকার মোশাররফ স্যারের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতেই তার বাসায় গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। দুই নেতা একান্তে প্রায় এক ঘণ্টা কথাবার্তা বলেছেন।

তবে ঠিক কোন ইস্যুগুলো নিয়ে তারা কথা বলেছেন কিংবা ভবিষ্যত আন্দোলনের ব্যাপারে কোনো কথা বলেছেন কিনা, তা পরিষ্কার করেননি বিএনপির এই মুখপাত্র।

দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির সামনে নতুন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা এবং দলকে সুসংগঠিত করার আর কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য প্রয়োজন নতুন কোনো কৌশল।

মির্জা ফখরুল দলের ভেতরে বিভিন্ন পর্যায়ের এবং সমমনা দলগুলোর শীর্ষনেতাসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের সামনে বিএনপি নতুন কী এজেন্ডা তুলে ধরবে, সে বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে একটি কৌশল বের করার চেষ্টা করছেন।

ফখরুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, নতুন রাজনৈতিক কৌশল স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন না মির্জা ফখরুল। একটা কিছু পথ বের হলেই আবার সক্রিয় হবেন বিএনপি মহাসচিব।