অভিবাসন নিয়ে আলোচনার জন্য তিউনিসিয়া সফরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি অনিয়মিত অভিবাসন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে তিউনিসিয়া সফর করছেন। ১৭ এপ্রিল, বুধবার তিনি দেশটির রাজধানী তিউনিসে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সঙ্গে দেখা করেছেন।

 ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও তিউনিসার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের

ইতালির কট্টর ডানপন্থী এই প্রধানমন্ত্রী উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে চতুর্থবার সফরে গেলেন। তার সরকার ইতালিতে অনিয়মিত অভিবাসীদের আগমন রোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ বলেছেন, তিউনিসিয়া অবশ্যই অন্যান্য আফ্রিকান দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য ট্রানজিট বা বসতি স্থাপনের দেশ হয়ে উঠবে না। 

মেলোনি বলেছেন, তিউনিসিয়া আফ্রিকার বাকি অংশ থেকে অভিবাসীদের আগমনের দেশ হতে পারে না। তিনি আফ্রিকান দেশগুলোতে আরও ইউরোপীয় বিনিয়োগের উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে জড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এদিকে মেলোনির সফরের আগে একজন ইতালীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, অভিবাসনে সহযোগিতা করা ইতালি ও তিউনিসিয়ার মধ্যে সম্পর্কের একটি কেন্দ্রীয় দিক। ওই কর্মকর্তা যোগ করেছেন, এটি অপরিহার্য যে তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং অবৈধভাবে প্রস্থান রোধে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

মেলোনির এবারের তিউনিসিয়া সফরটি তার তথাকথিত মাত্তেই প্ল্যানের অংশ হিসাবে এসেছে। এর মাধ্যমে ইতালিকে আফ্রিকা এবং ইউরোপের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসাবে স্থাপন করার লক্ষ্য রয়েছে। তিনি বলেছেন, অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আফ্রিকান দেশগুলোর উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন।

বুধবার তিউনিসিয়া-ইতালির মধ্যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলো হলো, জ্বালানি প্রকল্পের জন্য ৫৩ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য ঋণ এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা চুক্তি৷

উল্লেখ্য, তিউনিসিয়া আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। প্রতি বছর ইউরোপে পৌঁছানোর আশায় হাজার হাজার সাব-সাহারান আফ্রিকান অভিবাসী তিউনিসিয়ায় আসে। তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছর প্রায় ৭০ হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তিউনিসিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

সূত্র: এএফপি