ইরান: ইসরায়েলি হামলা মোকাবেলায় প্রস্তুত সামরিক বাহিনী

ইরান জানিয়েছে, দেশটির সামরিক বাহিনী ইসরায়েলের যেকোনো আক্রমণ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছে। ১৭ এপ্রিল, বুধবার ইরানি বিমান এবং নৌ বাহিনীও জানিয়েছে, তারা সামরিক পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত।

ইরানি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নাজেত

ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেছেন, 'নৌবাহিনী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লোহিত সাগরে পাহারা দিচ্ছে। আমরা অন্য দেশের জাহাজগুলোকেও পাহারা দিতে প্রস্তুত আছি।'  

বুধবার সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘আমাদের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসক (ইসরায়েল) দ্বারা যে কোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।' 

একই অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির ভাহেদি সতর্ক করে জানিয়েছেন, রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪ সহ তাদের যুদ্ধবিমান যেকোনো ইসরায়েলি আক্রমণ মোকাবেলার জন্য সর্বোত্তম প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।  

তিনি বলেছেন, ‘সব ক্ষেত্রেই আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি আছে। যেকোনো অভিযানের জন্য আমাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান প্রস্তুত রয়েছে।' 

এদিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ঘাঁটি কিংবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে ইসরায়েল সরাসরি আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ইরানের বাইরে দেশটির যেকোনো স্থাপনায়ও ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল ইসরায়েলে শতাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। প্রথমবার ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা করেছে দেশটি। মূলত এপ্রিলের শুরুতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে এই পদক্ষেপ নেয় ইরান। কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। এই হামলায় আইআরজিসির ৭ জন সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে এলিট আল-কুদস ফোর্সের ২ জন কমান্ডার ছিলেন। 

সূত্র: রয়টার্স