রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১১, স্থল অভিযানের শঙ্কা

গাজার রাফাহ শহরে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। বিমান থেকে বোমা হামলায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। স্থল অভিযান শুরুর আগমুহূর্তে এ বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে আশঙ্কা শহরটিতে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

রাফাহ শহরের এই ধ্বংসস্তুপই তাদের আশ্রয়। সেখানেই ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

গাজার স্থানীয় গণমাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, রাফাহ শহরের দক্ষিণ প্রান্তে সকাল থেকেই বিমান থেকে বোমা ফেলছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে পাচঁ শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে।

গাজা উপত্যকার অন্যান্য এলাকার মতো দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরেরও বেশিরভাগ অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি বিমান বারবার এলাকাটিকে লক্ষ্যবস্তু করে বোমা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গিয়ে প্রায় সমতল করে দিয়েছে। বোমায় প্রাণ গেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির।

সেই ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই গত কয়েক মাস ধরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে অন্য অঞ্চলের ঘরবাড়িহারা ১৫ লাখের বেশি উদ্বাস্তু। আর সেই উদ্বাস্তুদের ওপর দিয়েই এবার ট্যাংক-কামানের গোলায় স্থল অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল রাফায় প্রায় মাসখানেকের বেশি সময় ধরে স্থল অভিযানের কথা বলছে। রাফায় স্থল অভিযান থেকে ইসরায়েলকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার অনুরোধ জানালেও তাতে তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। হামলা শুরুর দিনক্ষণ প্রকাশ না করলেও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন রাফায় স্থল অভিযানের তারিখ ঠিক হয়েই আছে।

আজ বিমান হামলার পর রাফার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বোমা ফেলার পরই গর্জে উঠবে স্থলসেনাদের নির্বিচার কামানের গোলা।

রাফাহ শহরে আশ্রয় নেওয়া একজন বাস্তুচ্যুত মা তামাম আল-হান্ডি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী সেই অঞ্চলে একটি স্থল আক্রমণ শুরু করতে যাচ্ছে, যেখানে ঘরবাড়ি হারানো লাখ লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে পালিয়ে এসেছে।

ইসরায়েলি হামলায় স্বামী-সন্তান হারা তামাম বলেন, রাফাহতে আক্রমণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা আর কোথায় যেতে পারি?

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও নির্দয় অবরোধ গাজাকে বিরাণভূমিতে রূপান্তরিত করেছে এবং এই যুদ্ধ গাজায় নির্দয়ভাবে অমানবিককরণ চালিয়েছে।