কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতেই ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং

প্রচন্ড দাবদাহের মাঝে কর্মব্যস্ত সপ্তাহের প্রথম দিন শুরু হয়েছে ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের মধ্য দিয়ে। তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে।

ছবি - সংগৃহীত

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাত ১টায় মোট ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত রাজধানী ঢাকা এবং বড় শহরগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধ করার নীতি বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ এলাকায় বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পিজিসিবি- উভয়ের পূর্বাভাসেই উল্লেখ করা হচ্ছে যে দিনের সর্বোচ্চ সময়ে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ১৫,০০০ মেগাওয়াট, যা সন্ধ্যায় আরও বেড়ে ১৬,২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি জানান, চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭,০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।

লোডশেডিং নিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো - বিপিডিবি এবং পিজিসিবি-র তথ্য বিশ্লেষণে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিপিডিবি'র তথ্যে দেখা যায়, গত শনিবার সর্বোচ্চ লোডশেডিং ছিল ৩৭৪ মেগাওয়াট, যেখানে সন্ধ্যার সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫,০৫৩ মেগাওয়াট। ওই লোডশেডিংয়ের মধ্যে ঢাকায় ছিল মাত্র ৪০ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ৮৪, ময়মনসিংহে ২০০, রংপুরে ৫০ মেগাওয়াট। সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে কোনো লোডশেডিং হয়নি।

অপরদিকে, পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী শনিবার সারাদেশে লোডশেডিং ছিল ৬৪৪ মেগাওয়াট, যা বিপিডিবি'র তথ্যের প্রায় দ্বিগুণ।

এই বিষয়ে বিপিডিবি'র কোন কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে, পেট্রোবাংলার তথ্যে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চ ৩০০৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এর আগে গ্যাস উৎপাদনে বড় ধরনের পতন দেখা গিয়েছিল, গত সপ্তাহে উৎপাদন নেমে এসেছিল ২,৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটে।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনালই পুরোদমে চালু থেকে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুটেরও বেশি গ্যাস সরবরাহ করছে। এছাড়া শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রও পুনরায় উৎপাদনে ফিরে এসেছে, যার সক্ষমতা ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বিপরীতে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি সরবরাহ করছে। ফলে, সারাদেশে গ্যাস সরবরাহের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।