বন্যায় ভাসছে চীনের গুয়াংডং, ৬০০০০ বাসিন্দার ঘরবাড়ি ত্যাগ

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ভাসছে চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গুয়াংডং। কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গুয়াংডং থেকে ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে। যদিও কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর বিবিসির।

চীনের গুয়াংজু শহরে বন্যায় ডুবে গেছে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি

চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ও অনলাইনের ফুটেজে দেখা যায়, বন্যায় প্রদেশটির রাজধানী শহর গুয়াংজুর অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়িতে আটকা পড়েছেন বাসিন্দারা। উদ্ধারকারীরা কোমর পানিতে নেমে লাইফবোটে করে ঘরবাড়ি থেকে লোকদের বাইরে নিয়ে আসছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সোমবার সকালেও বৃষ্টি বন্ধ হয়নি। এতে গুয়াংডংয়ের অধিকাংশ নদী উপচে গেছে। কয়েকটি বড় নদীর তীর ভেসে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে এক বাসিন্দা বলেন, রবিবার রাতে টানা প্রায় দেড় ঘণ্টা জলপ্রপাতের মতো বৃষ্টি পড়েছে। ভারী বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ির প্রথম তলার অর্ধেক প্লাবিত হয়েছে। ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।

বন্যা পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানি জমে বেশির ভাগ ঘরবাড়ির নিচতলা ডুবে গেছে। প্রদেশজুড়ে কয়েক ডজন বাড়ি হয় ধসে পড়েছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে গুয়াংজুতে বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বাতিল করা হয়েছে। গুয়াংজু পাশাপাশি ছোট শহর শাওগুয়ান এবং হেয়ুয়ান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনটি শহরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বন্যার কারণে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ১১ লাখের বেশি বাসিন্দা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বন্যার তুমুল স্রোতে কয়েকটি সেতু ভেঙে গেছে। বন্যায় অন্তত ২০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চীনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, গুয়াংডং এবং প্রতিবেশী ফুজিয়ানের উপকূলীয় এলাকায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। চীনের রাজধানী বেইজিং, তিয়ানজিন ও হেবেইসহ দেশের অন্যান্য অংশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।