রানবন্যার ম্যাচে শেষ বলে জিতল দিল্লি

রানের পাহাড় ডিঙানোর খুব কাছেই শেষ ছিল গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু আশা জাগিয়েও শেষ বলে হেরে গেছে তারা। চার রানের নাটুকে জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণ ছিল রশিদ খানের সামনে। প্রথম দুই বলে চার হাঁকিয়েছিলেন আফগান তারকা। পঞ্চম বলে ছক্কা। শেষ বলে রানই নিতে পারলেন না রশিদ।

শেষ ওভারে টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ছবি: বিসিসিআই

মুকেশ কুমারের তৃতীয় বলে অবশ্য ‘নো’ বলের দাবি জানিয়েছিল গুজরাট। কিন্তু রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। হাইস্কোরিং ম্যাচে হারতে হলো তাদের। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নয় ম্যাচে এটা দিল্লির চতুর্থ জয়। সমান ম্যাচের পাঁচটিতে হারল গুজরাট। আট ম্যাচে সাত জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রাজস্থান রয়্যালস।

বুধবার রাতে ঘরের মাঠ অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার উইকেটে ২২৪ রানের পাহাড় গড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাব দিতে নেমে আট উইকেটে ২২০ রান তুলতে সক্ষম হয় গুজরাট টাইটান্স। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ প্যান্ট। ৪৩ বলে পাঁচ চার ও আট ছয়ে ৮৮ রানে অজেয় থাকেন তিনি।

ঝড় উঠেছে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটেও। ৪৩ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছয়ের ওপর দাঁড়িয়ে ৬৬ রান করেন তিনি। এ ছাড়া পৃথ্বি শ সাত বলে ১১, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ১৪ বলে ২৩ ও ত্রিস্টান স্টাবস সাত বলে ২৬* রান তোলেন। অথচ এমন ম্যাচে গুজরাটের সন্দ্বীপ ওয়ারিয়ার তিন ওভারে ১৫ রানে নেন তিন উইকেট। বাকিরা বেধরক মার খেয়েছেন।

বিশাল রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় গুজরাট। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ধাক্কা সামাল দেন ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্সন। দলীয় শতকের আগ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। জুটি ভাঙে ঋদ্ধিমান ২৫ বলে ৩৯ রানে বিদায় নিলে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদায় নেন নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। ১২১ রানে পতন হয় চতুর্থ উইকেটের।

৩৯ বলে সাতটি চার ও দুই ছয়ে ৬৫ রান করেন সুদর্সন। ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে ডেভিড মিলার তাণ্ডব। দিল্লি দেখে জয়ের আশা। ২৩ বলে ছয়টি চার ও তিন ছয়ে ৫৬ রানে আউট হন মিলার। পরে রশিদ ও সাই কিশোর চেষ্টা করেছিলেন। রশিদ ১১ বলে ২১* ও কিশোর ছয় বলে ১৩ রান করেন। দিল্লির পক্ষে তিন উইকেট নেন রশিখ দার সালাম। দুটি শিকার কুলদীপ যাদবের।