সেই শিশুটি আর বেঁচে নেই!

গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত হয়েছিলেন এক অন্তঃস্বত্ত্বা নারী। তবে তার গর্ভের শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেন চিকিৎকরা। চিকিৎসকদের হাজারো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গত বৃহস্পতিবার মেয়ে শিশুটি মারা যায়। তাকে তার মায়ের পাশেই দাফন করা হয়েছে। খবর বিবিসি।

সেই শিশু

খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে দুটি বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। এতে নিহতদের মধ্যে ১৬টি শিশু ছিল। নিহতের তালিকায় ছিলেন সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাবরিন আল-সাকানি, তার স্বামী শুকরি ও তাদের তিন বছরের মেয়ে মালাক। স্বামী ও সন্তান ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাবরিনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি সেখানে মারা যান। সেখানেই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে সাবরিনের কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

তবে শিশুটি শুরু থেকেই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। অপ্রতুল চিকিৎসা সেবার মধ্যেও শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়। সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য সাধ্যাতীত চেষ্টা চালিয়ে যান। হাত পাম্প ব্যবহার করে তার ফুসফুসে বাতাস পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এভাবেই সে বেঁচে ছিল। পরে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা

শিশু সাবরিনের জন্মের পর রাফাহর এমিরাতি হাসপাতালের জরুরি নবজাতক পরিচর্যা বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ সালামা জানিয়েছিলেন, এ সময়ে শিশুটির থাকার কথা ছিল তার মায়ের গর্ভে। কিন্তু তার সেই অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, হামাসের সদস্যদের লক্ষ্য করেই তারা এ হামলা চালিয়েছিল। তাদের হামলায় এতগুলো শিশুসহ অন্যদের নিহত হওয়ার ব্যাপারে তারা আর কোনো মন্তব্য করেনি।

গাজা উপত্যকার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।