তাকসিম স্কোয়ারে মে দিবসের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে তুরস্ক

তুর্কি পুলিশ ৩০ এপ্রিল,মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রীয় তাকসিম স্কোয়ার বন্ধ করে দিয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিকদের বিক্ষোভ প্রতিরোধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইউনিয়নগুলোকে যেকোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছেন।

তাকসিম স্কোয়ার

এর আগে ২৯ এপ্রিল, সোমবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া বলেছেন, তাকসিম স্কোয়ার ব্যতীত মে দিবস উদযাপনের জন্য ৪০টি স্থান মনোনীত করেছে কর্তৃপক্ষ। তার একদিন পরেই এই চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ইয়ারলিকায়া বলেছেন, কিছু ইউনিয়ন তাকসিম স্কোয়ার ব্যবহার করার দাবি করেছিল। তবে এর অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ এটি এবং এর আশেপাশের এলাকা কোনো সমাবেশের জন্য উপযুক্ত নয়।

এদিকে ইস্তাম্বুলের গভর্নরের কার্যালয় ঘোষণা করেছে, কিছু রাস্তা যানবাহনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে গণপরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি শ্রমিক সমাবেশের জন্য স্কোয়ারটি উন্মুক্ত করার জন্য সরকারকে চাপ দিয়েছে। সিএইচপি ৩১ মার্চের স্থানীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুল সহ বেশ কয়েকটি প্রধান শহরে জয়লাভ করেছে। 

মঙ্গলবার এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ‘অননুমোদিত এলাকায় সমাবেশ করার ওপর জোর দেওয়া সৎ উদ্দেশ্য নয়। বিরোধী দল এবং কিছু প্রান্তিক গোষ্ঠী তাকসিম স্কোয়ারে সমাবেশের আহ্বানের মাধ্যমে মে দিবসের চেতনাকে ছাপিয়ে যেতে চেয়েছিল।' 

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি আমাদের শ্রমিক ইউনিয়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে মে দিবসের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।' 

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তাকসিম স্কোয়ারে মে দিবস পালন করা হত। কিন্তু ১৯৭৭ সালের ১ মে বামপন্থী একটি সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করা হলে ৩৪ জন নিহত হয়। এরপর থেকে এই স্কোয়ারে সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ২০১০ সালে এটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল ছিল বিখ্যাত এই চত্বরটি। এরপর এটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সূত্র: এএফপি