অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজে 'গাজার জন্য লিবারেশন জোন': ১০০+ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগদান!

অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মীরা গাজার জন্য তাদের ক্যাম্পাসে 'লিবারেশন জোন' স্থাপন করেছে। সোমবার (৬ মে) সকালে শুরু করা এই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যে বিশ্বের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় যোগদান করেছে।

গাজার জন্য লিবারেশন জোন স্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা

গাজায় ইসরায়েলের সাত মাস ধরে চলা নৃশংসতার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেয় অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পগুলো ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা, দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনের জাতিগত নির্মূলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জড়িত থাকার বিষয়টি অবিলম্বে অবসানের আহ্বান জানিয়েছে।

সদ্য গঠিত জোট অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন (ওএ৪পি) এবং ক্যামব্রিজ ফর প্যালেস্টাইন (সি৪পি) এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, কলাম্বিয়া থেকে ইউসিএলএ, ট্রিনিটি কলেজ থেকে সায়েন্সেস পো, নিউক্যাসল থেকে গোল্ডস্মিথস; বিশ্বজুড়ে এমন ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে এই সাহসী ও জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পদ ও প্রতিপত্তি সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে তাদের ভূমিকা এবং এর বিপর্যয়কর ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকেই এসেছে। এছাড়া ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণার প্রণয়নের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূমি ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারী-ঔপনিবেশিক প্রকল্পের হাতে তুলে দেওয়া ব্যক্তিরাও অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৪ সালে এসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঐতিহাসিক ঔপনিবেশিক সহিংসতায় তাদের ভূমিকার মোকাববেলা করার দাবি জানাতে পারত, কিন্তু যখন তারা ইসরায়েলের গণহত্যা, দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনের চলমান উপনিবেশকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়, তখন তাদের কথাগুলো অন্তঃসার শূন্য হয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যায় জড়িত কোম্পানিগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের জীবনের মূল্যে অক্স-ব্রিজের মুনাফা বাড়তে পারে না। ইসরায়েলি অপরাধের সাদা ধোয়ার ওপর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি বাড়ানো উচিত নয়।

সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অভিযানে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সব ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহকেও তার লক্ষ্যবস্তু করেছে, যেখানে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।