পিএসজির হৃদয় ভেঙে ১১ বছর পর ফাইনালে ডর্টমুন্ড

রেফারি বাঁশি বাজাতেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফ্রান্সকে ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারলেও দেশের ক্লাব পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এনে দিতে পারলেন না। প্যারিসে ম্যাটস হামেলসের গোলে বাজিমাত করল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তারা জিতেছে ন্যূনতম ১-০ গোলের ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে ১১ বছর পর ফাইনালে উঠল জার্মানির ক্লাবটি।

ছবি - সংগৃহীত

প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। ৫০ মিনিটে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ক্রমাগত আক্রমণে দিশেহারা পিএসজি খেই হারায়। কর্ণার পায় ২০১২-১৩ মৌসুমে সর্বশেষ ফাইনাল খেলা দলটি। বাতাসে ভেসে আসা বল হেডের মাধ্যমে গোল আদায় করেন হামেলস। গ্যালরিতে তখন নীরবতা নেমে এসেছে। একটি অংশে তখন হলুদ ঢেউ। ডর্টমুন্ড থেকে ভক্ত ও সমর্থকরা বিমানে চেপে এসেছেন দলকে সমর্থন দিতে।

১ জুন লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ নয়ত জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। এ নিয়ে তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠল বরুশিয়া। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে তারা প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলে। সর্বশেষ এগারো বছর আগে ‘অল জার্মান’ ফাইনালে বায়ার্নের কাছে এই লন্ডনেই ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় ডর্টমুন্ড। আবারও ইতিহাস ফিরে আসতে পারে বুধবার রাতে। বায়ার্ন ও রিয়াল মাদ্রিদ সেমিফাইনালের প্রথম লেগটিতে ২-২ গোলে ড্র করেছে। বায়ার্ন তো ফাইনালে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবে!

ভাগ্য পিএসজির সঙ্গে ছিল না। ২টি শট বারে লেগে ফিরেছে। একবার মারকুইনহসের জোরালো শট ক্রস বারে লাগে। ডর্টমুন্ড ডিফেন্স বেশ শক্তিশালী করে রেখেছিল। এমবাপ্পে কোনোভাগে সুযোগ বের করতে পারেননি। ডর্টমুন্ড কাউন্টার অ্যাটাকেরে অপেক্ষায় থেকেছে। সব মিলিয়ে বাজে রাত গেছে পিএসজির। 

কিলিয়ান এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ছেন। একবুক আক্ষেপ নিয়ে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমাবেন! ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে তার হৃদয় ভেঙেছিল আর্জেন্টিনার কাছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে সে কষ্ট আবার ফিরে এলো। 

সেমিফাইনালের প্রথম লেগটি ছিল ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে। সেখানে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন নিকলাস ফুলক্রুগ। পার্ক দেস প্রিন্সেসে জয়ের নায়ক ম্যাটস হামেলস। এই জয়ে মার্কো রয়েসের মুখে হাসি ফুটবে। এ মৌসুম পর তিনি বরুশিয়া ছাড়বেন। বিদায়বেলায় দল চ্যাম্পিয়ন হোক নিশ্চয় তিনি সেটা চাইবেন!