হামদান: রাফায় হামলা ইসরায়েলি বাহিনীর জন্য পিকনিক হবে না!

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কর্মকর্তা ওসামা হামদান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাফায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে না। বৈরুতে মঙ্গলবার (৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্স।

ওসামা হামদান

হামদান বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে জানাচ্ছি, ইসরায়েল যদি রাফায় সামরিক অভিযান চালায়, তবে সেটি তাদের সেনাবাহিনীর জন্য কোনো পিকনিক হবে না।

তিনি আরও বলেন, বল এখন পুরোপুরি নেতানিয়াহুর কোর্টে। সেখানকার সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। হামাসের সম্মত হওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের জনগণ এবং আমাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের দাবিগুলোর প্রতি নজর রেখেই এতে ন্যূনতম পর্যায়ে সাড়া দেওয়া হয়েছে।

রাফাহতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী

ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে রাফাতে হামলা চালাতে শুরু করে। এ সময় তারা মিশর ও দক্ষিণ গাজার মধ্যকার প্রধান সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয়। হামদান দাবি করেন, রাফা ক্রসিং পুরোপুরিভাবে মিশরীয়-ফিলিস্তিন ক্রসিং হিসেবে আছে এবং থাকবে।

এদিকে রাফাহ অভিযানের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানকে পুরোপুরি উপেক্ষা করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। গত সোমবার রাফা ইস্যুতে বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন নেতানিয়াহু। সেখানে বাইডেন রাফার ব্যাপারে তার অবস্থান স্পষ্ট করেন।

পরে এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা মনে করি রাফায় এ মুহূর্তে অভিযান চালালে তা ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগকে রাতারাতি অনেক বাড়িয়ে তুলবে এবং বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা বহুগুণে বেড়ে যাবে।

তবে এই সতর্কবার্তার পরেও নেতানিয়াহু তার সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আনেনি। বরং বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনিদের রাফা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করে। মঙ্গলবার ভোর থেকে রাফাহতে হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি দাবি করেন, ইসরায়েলি বিমান রাফায় অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।