বিমান যাত্রীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ ভারতে

বিমান যাত্রীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে ভারত। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালার খসড়াও চূড়ান্ত করেছে দেশটি। নীতিমালায় আচরণ ভেদে যাত্রীদের শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে। তিনটি ভিন্ন স্তরে দেয়া হবে একই শাস্তি। শুধু পার্থক্য থাকবে সময়ের ব্যবধানে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী যদি বিমানের অন্য কাউকে কটুক্তি করেন, বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন বা মদ পান করে বিমানে ওঠেন এবং তা যদি প্রমাণিত হয়, তবে তিন মাসের জন্য তার নাম ওঠে যাবে ‘নো ফ্লাই লিস্টে’।

নো ফ্লাই লিস্টে ছয় মাসের জন্য নাম ওঠে যেতে পারে যদি কোনো যাত্রী বিমানে যৌন হেনস্থা করেন বা করার চেষ্টা করেন অথবা কাউকে শারীরীকভাবে আঘাত করেন বা আঘাতের চেষ্টা করেন। এ ধরনের অপরাধকে বিমান যাত্রীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার দ্বিতীয় স্তরে রাখা হয়েছে।

প্রথম স্তরের অপরাধ বলে গণ্য হবে প্রাণহানীর মতো অপরাধের চেষ্টা করলে, বিমানের ক্ষতি করলে বা ক্ষতির চেষ্টা করলে, ককপিটে ঢুকে পড়লে বা ঢোকার কোনো ধরনের চেষ্টা করলে। এই স্তরের অপরাধ প্রমাণিত হলে অন্তত দুই বছরের জন্য অপরাধী যাত্রীর নাম ওঠে যাবে নো ফ্লাই লিস্টে। এই লিস্টে নাম ওঠা মানে শাস্তির সময়টা ভারতের কোনো বিমানেই উঠতে পারবেন না তিনি।

জানা গেছে, ভারতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই বিধিমালা আরোপের আগে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছে। ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো যাত্রী অপরাধী হিসেবে শনাক্ত হলে তার নাম সব বিমান কর্তৃপক্ষের কাছেই চলে যাবে।

এ দিকে, একদল বলছেন যে এ ধরনের নীতিমালা প্রয়োগের আগে যাত্রীদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। কারণ অনেক যাত্রী প্রথমবার বিমানে ওঠে ভুল করে বা জানা না থাকায় এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারেন।