লঙ্কানদের কুপোকাত করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু প্রোটিয়াদের

চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচটি ওয়ানডে আগেই হেরেছে শ্রীলঙ্কা। তাদের আশা ছিলো সেই হারগুলো থেকে নেয়া শিক্ষা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করা। তা তারা করলো বটে এবং আগের মতোই বরণ করলো হারই। শিক্ষাটা যে এটাই ছিলো!

শ্রীলঙ্কাকে ৯৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলার দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং এবং ইমরান তাহিরের কৌশলী বোলিং ছিলো এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার এগিয়ে যাওয়ার সোপান।

কেনিংটন ওভালে এই ম্যাচ দিয়েই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হয়েছে দুই দলের। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ২৯৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে ১১৫ বলে হাশিম আমলার অবদান ১০৩ রান। সঙ্গে ছিলো ফাফ ডু প্লেসির কার্যকর ৭৫ রান।

এই ম্যাচের সেঞ্চুরিটি দিয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন হামলা। সবচেয়ে কম ম্যাচে অন্তত ২৫টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন তার। আমলা ভেঙেছেন বিরাট কোহলির রেকর্ড। ভারতীয় অধিনায়কের লেগেছিলো ১৬২ ইনিংস। আমলার লাগলো ১৫১টি।

এই সেঞ্চুরি করে একটা রেকর্ডে শচিন টেন্ডুলকার, কুমার সাঙ্গাকারা ও রিকি পন্টিংয়ের পাশে নাম উঠলো হাশিম আমলার। তিনিও এখন তিন কিংবদন্তির মতো ওয়ানডে এবং টেস্ট; উভয় ফরম্যাটে অন্তত ২৫টি করে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান।

৩০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপেই রেখেছিলেন উপুল থারাঙ্গা ও নিরোসান দিকবেলা। এ দুজনের ৬৯ রানের জুটি ইঙ্গিত দিচ্ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের পাঁচ হারের পর শ্রীলঙ্কার একটা জয়ের। কিন্তু ইঙ্গিতটা দীর্ঘ হয়নি।

মাঝের ওভারগুলোতে ইমরান তাহিরের বিস্ময় ছড়ানো স্পিনে শ্রীলঙ্কার আর করার ছিলো না কিছুই। ৩০ ওভারের মধ্যেই ১৫৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বসে। ইমরান তাহির আট ওভার তিন বলে মাত্র ২৭ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। 

এরপর যতো সময় গেছে, ম্যাচ থেকে শ্রীলঙ্কা ততোই উধাও হয়ে গেছে। সমান্তরালে ফুটে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি- সামর্থ্যের চিত্র। যা বলে দিচ্ছে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাটা ঘরে নেয়ার যুদ্ধ করতেই ইংল্যান্ড গিয়েছে তারা।