বাংলাদেশকে পাত্তাই দিচ্ছেন না শেবাগ!

টুইটারে নানা সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ভারতীয় সাবেক ওপেনার বিরেন্দর শেবাগ অনেক আগেই হাস্যকর এক চরিত্রে পরিণত হয়েছেন। বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ ক্রিকেটকে হেলা করে মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। আরো একবার, কিছুটা কৌশলে বাংলাদেশকে পাত্তা না দিয়ে এ দেশের সমর্থকদের তাতিয়ে দিলেন তিনি।

গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে ওঠেছে ভারত। এরপরই টুইটারে শেবাগ তার দেশকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য শুভ কামনা জনিয়ে পোস্ট করেন। সেটা তিনি করতেই পারেন। কিন্তু সেমিফাইনাল জিতলেই না ফাইনালের কথা আসবে, ভারত তো এখনো সেটা জিতেনি! তারপরও শেবাগ কিভাবে কোহলিদের ফাইনালের শুভ কামনা জানালেন?

সেমিফাইনালে উঠার পর ভারতকে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে হবে, সেটা যেনো বেমালুম ভুলে গেলেন শেবাগ। অথবা বাংলাদেশকে তার কোনো দলই মনে হয়নি। যেনো, কোহলিরা সেমিফাইনালে উঠার মাধ্যমে ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলেছেন।

বাংলাদেশের জন্য চরম অপমানজনক এমন টুইট আগেও করেছেন শেবাগ। যা সত্যিই হতাশ করেছে ব্যাটসম্যান শেবাগের বহু ভক্ত বাংলাদেশিকে।

ভারত যখন বর্তমান দলের চেয়েও শক্তিশালী ছিলো, সেই ২০০৭ সালেই ভারতকে হারানোর স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। এমন কি সেই ম্যাচ ছিলো বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেয়েছিলো তাদের। তখনও ভারতীয় দর্শকরা বাংলাদেশের ম্যাচটার কথা গুরুত্ব না দিয়ে পরের পর্বের টিকিট কেটে রেখেছিলো। পরে তাদেরকে সেই টিকিট গচ্ছা দিয়ে লজ্জায় মাথা লুকিয়ে দেশে ফিরতে হয়।

এর আগে, ২০০৪ সালে ভারতকে প্রথম হারায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে মাশরাফির বলে শূন্য রানে বোল্ড হয়েছিলেন শেবাগ। খুব সম্ভবত সেই স্মৃতিগুলো মনে নেই সাবেক এই ভারতীয় ওপেনারের। এ কারণেই হয়তো বাংলাদেশকে একের পর এক আঘাত করে যাচ্ছেন তিনি।

গত তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ দুইবার হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে। এর মধ্যে একটা ম্যাচে ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও ২৬৬ রানের লক্ষ্য স্পর্শ করে জিতেছেন মাশরাফিরা। সারা বিশ্বের ক্রিকেটবোদ্ধারা বর্তমান বাংলাদেশ দলকে দিচ্ছেন বাড়তি সম্মান। কিন্তু শেবাগ মনে করছেন, বাংলাদেশ কেনো দলই না!

কোনো সন্দেহ নেই, বর্তমান ভারতীয় দল তাদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ও শক্তিশালী। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার জন্য তারাই এক নম্বর ফেভারিট। তাই বলে প্রতিপক্ষকে অসম্মান করে কথা বলাটা কখনোই ভদ্রলোকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে শেবাগ অবশ্য আর ভদ্রলোক আছেন বলেও মনে হয় না।

শেবাগের কথার জবাবটা দেয়া যেতে পারে কেবল খেলার মাঠে। মাশরাফিদের কানে নিশ্চয় শেবাগের কথাটা অবশ্যই গেছে। মাশরাফিরা নিশ্চয় নিজেদের উজাড় করেই খেলবেন। সেটার ফলে যদি বাংলাদেশ জিতে যায়, তখন কী বলবেন শেবাগ? কিংবা ‘তার মতো’ ভারতীয়রা?