বিদায়ের জন্য ‘মর্মান্তিক’ ফিল্ডিংকে দায়ী করছেন ম্যাথুস

পাকিস্তানের সঙ্গে গতকালের ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার জন্য ছিলো বাঁচা-মরার লড়াই। সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত টিকেনি লঙ্কানরা। তাদেরকে তিন উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান। হারের পর শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস দায়ী করেছেন তার দলের ‘মর্মান্তিক’ ফিল্ডিংকে।

এই ম্যাচে পাকিস্তানি বোলিং লাইনের সামনে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে বড় রান করে জিতলেও পাকিস্তানকে মাত্র ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিলো তারা। 

জবাব দিতে নেমে শুরুটা খুব ভালো করে পাকিস্তান। তারপরও শ্রীলঙ্কা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলো। কিন্তু লঙ্কান ফিল্ডাররা শুধুমাত্র মালিঙ্গার বলেই ফেলেছেন তিনটি অপেক্ষাকৃত সহজ ক্যাচ। যা আসলে তাদেরকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই বের করে দিয়েছে।

অথচ অল্প রানের পুঁজি নিয়ে শ্রীলঙ্কার কাজ ছিলো যে কোনো সুযোগ লুফে নেয়া। হয়তো এমন চাপের মুখেই ফসকে গেছে একের পর এক ক্যাচ। ম্যাচ শেষে তাই হারের জন্য ফিল্ডিংয়েই দায়ী করেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায় ম্যাথুস।

শ্রীলঙ্কার দৃষ্টিকটু ফিল্ডিং শুরু হয় পাকিস্তান জবাব দিতে নামার পরই। মালিঙ্গার প্রথম ওভারেই ক্যাচ তুলে বেঁচে যান আজহার আলি। এরপর শুধু সরফরাজ আহমেদেরই দুটি ক্যাচ ফেলেছেন লঙ্কান ফিল্ডাররা। এর মধ্যে প্রথম ক্যাচটি যখন পড়ে, তখনও জেতার জন্য ৪৩ রান দরকার ছিলো লঙ্কানদের। ওই ক্যাচটা নিতে পারলে শ্রীলঙ্কা জিতেও যেতে পারতো।

৩৮ রানে ‘জীবন’ পাওয়া সরফরাজ শেষ পর্যন্ত ৬১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ আমিরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে ৭৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিই মূলত পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করে।

শ্রীলঙ্কার ফিল্ডিংয়ের এমন রুগ্নদশাটা অবশ্য আজই প্রথম নয়। গত কয়েক মাস ধরেই ফিল্ডিংয়ের কারণে একটার পর একটা ম্যাচ হেরে এসেছে তারা। ম্যাথুস তাই বললেন, ‘আরো আমাদের ফিল্ডিং খুবই মর্মান্তিক হলো। আমরা যদি ক্যাচগুলো নিতে পারতাম, তাহলে এই ম্যাচের গল্পটা অন্য রকম হতো।’

গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচগুলো নিতে না পারার মানে শ্রীলঙ্কা ফিল্ডিংয়ে মনোযোগী ছিলো না; এমন কিছু মনে করেন না ম্যাথুস। তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে আমরা অনেকগুলো ক্যাচ ফেলে দিয়েছি। কিন্তু খেলোয়াড়দের মনোযোগে এবং আত্মনিবেদনে কোনো ঘাটতি ছিলো না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই মাঠে দিয়েছি।’