বিপিএল হবে, তবে...

আবার ঘরোয়া ক্রিকেটের আলোচিত আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চলতি বছরের শেষ দিকে মাঠে গড়াতে পারে বিপিএলে তৃতীয় আসর। তবে তার আগে আসরের আর্থিক অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে চায় বিসিবি। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা বলেছেন, ‘বিপিএলের আর্থিক অবকাঠামো ‘গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত’ করা হবে। আর্থিক অবকাঠামো বদল করেই আয়োজন করবো বিপিএল।’ 

বিপিএলের সর্বশেষ আসর অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে কয়েকজন ক্রিকেটার ও ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের একাধিক কর্মকর্তা। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এক বছর বন্ধ থাকে বিপিএল। এ ছাড়া দেশি বিদেশি বহু খেলোয়াড়ের বকেয়া নিয়েও সৃষ্টি হয় সমস্যা।

মঙ্গলবার বিসিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল আয়োজনের ইচ্ছের কথা প্রকাশ করা হয়। এবার নিয়ে তৃতীয়বার বিপিএল আয়োজনে নিজেদের ইচ্ছে ও চেষ্টার কথা সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ করলো দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিপিএলের গভর্নিং বডির মেম্বার-সেক্রেটারি ইসমাইল হায়দার মল্লিক মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়- আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বরে বিপিএল আয়োজনের চেষ্টা করছি। যদি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ না থাকে এবং যদি সব পরিকল্পনা ঠিকভাবে এগিয়ে যায়, আশা করছি সম্ভব হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামী বছরের শুরুতে এশিয়া কাপ ও ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে আমরা বিপিএল আয়োজন করতে চাই। যাতে খেলোয়াড়রা বড় দুটি টুর্নামেন্টের আগে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারে।’

মল্লিক আরো বলেন, ‘আসন্ন বিপিএলের আগে এর অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। যাতে প্রতিবছর টুর্নামেন্টটি আমরা আয়োজন করতে পারি। আমরা আর্থিক অবকাঠামো বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য করার চেষ্টা করছি।’

মল্লিক দাবি করেন যে, খেলোয়াড়দের সব বকেয়া ইতোমধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ যথাযথভাবে বকেয়ার দাবি করে, তবে তাও পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বকেয়া টাকার ৯০ ভাগ এর মধ্যেই দিয়ে দিয়েছি। এরপরও যদি সত্য কোনো দাবি উঠে, তবে আমরা তা যথাযথভাবে যাচাই করবো। স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে এখনো যাদের টাকা বাকি আছে, তারা বোর্ড পরিচালক নাঈমুর রহমান দূর্জয়ের সাথে যোগাযোগ করে টাকা বুঝে নিতে পারবে।’

মল্লিক আরো জানান, বিপিএলের আগের দুই আসরে খেলা দলগুলো এখনো খেলতে পারবে। যদিও চুক্তিভঙ্গের কারণে এবং গভর্নিং বডির সাথে নানা রকম অনিয়মের কারণে সবাইকে এর মধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। তবে যদি তারা বিপিএলের পরবর্তী আসরে খেলার আগ্রহ না দেখায়, তবে বিসিবি নতুন ফ্রেঞ্চাইজি খুঁজবে। পুরোনো ফ্রেঞ্চাইজিরা আবার বিপিএলের সাথে যুক্ত হতে চাইলে তাদের পুরোনো বকেয়া পরিশোধ করতে হবে এবং বিসিবির কাছে পুনরায় যুক্ত হতে চেয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর বিসিবি যদি তাদের অনুমতি দেয়, তবেই আবার বিপিএলের সাথে যুক্ত হতে পারবে তারা।

পুরোনো দলগুলোর খেলার সম্ভাবনা থাকলেও ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স সে সুযোগ পাবে না। কারণ তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। এ ছাড়া তাদের মালিক শিহাব জিসান চৌধুরী ও সালিম চৌধুরীকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ দিকে সামনের বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা খেলতে পারবে বলে জানা গেছে। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে নিজেদের খেলোয়াড় পাঠায়নি পাকিস্তান বোর্ড। তবে এবার কোনো ঝামেলা হবে না বলেই জানা গেছে। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

বাংলাদেশকে খাটো করে স্টেইনের দুঃখ প্রকাশ

সাকিব দলে ফেরায় খুশি কলকাতা

টেস্টে ইতিহাসের সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ