নতুন পরিচয় ও স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে মাহেলা জয়াবর্ধনে

মাহেলা জয়াবর্ধনে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন ৯০-এর দশকে। শ্রীলঙ্কার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে সেই প্রথমবার বাংলাদেশে আসার পর আরো বহুবার এসেছেন তিনি। বাংলাদেশের জলহাওয়া তাই তার খুব চেনা। বাংলাদেশের মাটিতে একটা বিশ্বকাপ জেতারও সুখস্মৃতি আছে তার। সেই চেনা বাংলাদেশে মাহেলা এবার এলেন নতুন পরিচয়ে, নতুন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে। আসছে বিপিএলে মাহেলা জয়াবর্ধনে পালন করবেন কোচের দায়িত্ব। গত বিপিএলের রানার্স আপ খুলনা টাইটান্স দুই বছরের জন্য কোচের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে মাহেলার কাঁধে।

গত বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের খেলোয়াড় ছিলেন মাহেলা। এবার যে তার দল ও ভূমিকা বদলে যাচ্ছে, তা জানা গিয়েছিলো আগেই। বুধবার রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহেলাকে কোচ হিসেবে ঘোষণা করে খুলনা টাইটান্স কর্তৃপক্ষ।

নিজের নতুন দায়িত্ব নিয়ে মাহেলা বলেন, ‘খুলনার কোচ হওয়া আনন্দ ও চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। যদিও কোচ হবো, এমন কোনো চিন্তা আমার ছিলো না। তারপরও এই কাজটা করে আনন্দ পাই। আমার মনে হয় ক্রিকেট থেকে আমি যা পেয়েছি, কোচিং করিয়ে তার কিছুটা ফেরত দিতে পারছি। কোচ হিসেবে আমি নতুন প্রজন্মকে ক্রিকেটের একটা উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।’

নিজের সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান কদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কোচ ছিলেন। আপাতত মুম্বাই ও খুলনারই কোচ তিনি। এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছিলো যে ভারতীয় জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে পারেন মাহেলা। শ্রীলঙ্কার কোচ হতে পারেন তিনি, শোনা যাচ্ছিলো এমন কথাও।

কিন্তু ঢাকায় বুধবার এ সব খবরকে ‘গসিপ’ বলে উড়িয়ে দিলেন মাহেলা। সঙ্গে আহ্বান জানালেন এ সব গসিপ-সর্বস্ব খবরে মনোযোগ না দিতে।

মাহেলা বলেন, ‘দেখুন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, কোচিংকে পূর্ণ মেয়াদের পেশা হিসেবে নেয়ার কোনো ইচ্ছে এখনো নেই। ভবিষ্যতে যদি সে রকম কিছুর সম্ভাবনা তৈরি হয়, তাহলে সেটা সবাই জানতে পারবেন। আমার ভারত বা শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার খবর সত্য নয়, গসিপ। এ সব খবরে কান না দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

খুলনা গত বছরের বিপিএলে আসরের দ্বিতীয় সেরা দল ছিলো। পেশাদার দল হিসেবে তাদের বয়স মাত্র এক বছর। তাদের সামনে এখনো অনেকটা পথ পড়ে আছে বলেই মনে করেন মাহেলা। তিনি বলেন, ‘খুলনার বয়স মাত্র এক বছর। আমি তাদের একটা নিজস্বতা তৈরি করতে চাই। এ জন্য বিদেশি ও স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে দারুণ একটা সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। এটাই বোধহয় বড় একটা চ্যালেঞ্জ। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই।’

২০১৫ সালের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি মাহেলা। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটটা অবশ্য এরপরও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেটাও আর সামনে হবে না বলেই নিশ্চিত করেছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে তার ক্যারিয়ারটা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।

তাহলে কি কোচ হিসেবে নিয়মিতই দেখা যাবে তাকে? উত্তরে মাহেলা যা বললেন, তাতে মনে হলো পূর্ণ মেয়াদে কোচ হিসেবে তাকে আপাতত আশা করাটা উচিত হবে না কোনো দলেরই।