বিশ্বরেকর্ড ডেঙিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারালো লড়াকু জিম্বাবুয়ে

এই জিম্বাবুয়েকে লড়াকু ছাড়া আর কী-ইবা বলা যায়? এক দশকেরও বেশি সময় পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় এসেই স্বাগতিকদের হারিয়েছে তারা। সেটাও শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বোচ্চ রান চেজ করার রেকর্ড গড়ে। আজ শ্রীলঙ্কার একটা বিশ্ব রেকর্ডও ডেঙিয়ে জিতে গেলো হিথ স্ট্রিকের শিষ্যরা। ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হতে থাকা জিম্বাবুয়ের এভাবে ঘুরে দাঁড়ানোটা বিস্ময়করই।

আজ হাম্বানতোতায় আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০০ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টির বাঁধায় পড়ে জিম্বাবুয়ে। তারপরও তারা বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জিতে যায় চার উইকেটে। ক্রেইগ আরভিনের অপরাজিত ৬৯ রান এবং ম্যালকম ওয়ালারের ১৩ বলে ২০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটিও কার্যকর অবদান রেখেছে সফরকারীদের জয়ে।

বৃষ্টি, তিনশ রানের লক্ষ্যের চাপ এবং নিজেদের অনভিজ্ঞতা; এই সব কিছুর বিপক্ষেই আজ খেলতে হয়েছে জিম্বাবুয়ে এবং সেখানেই তারা দেখিয়েছে তাদের লড়াকু মনোভাবের দারুণ প্রদর্শনী। শুরুটা অবশ্য সহজ করে দিয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সলোমোন মায়ার। তারা ওপেনিং জুটিতে ৯ ওভার ৪ বলে ৬৭ রান করে দিয়ে যান।

এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এগোতে থাকে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না কেউই। এর মধ্যেই দাঁড়িয়ে যান ক্রেইগ আরভিন এবং তাকে কেন্দ্র করেই জয়ের দিকে ছুটতে থাকে জিম্বাবুয়ে। সমান্তরালে ছুটতে থাকে হাম্বানতোতার আকাশের মেঘও। ফল— অনাহুত বৃষ্টি।

তবে বৃষ্টি বেশিক্ষণ থাকেনি এবং সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জিম্বাবুয়ের জয়ের। শেষ দিকে ১৩ বলে ২০ রান করে তৈরি হতে থাকা চাপকে দূরে নিয়ে আছড়ে ফেলেন ম্যালকম ওয়ালার। ততক্ষণে জয়ের বন্দর থেকে সামান্য দূরে জিম্বাবুয়ে। শেষমেষ ১০ বল বাকি থাকতেই বৃষ্টির কারণে কমে নির্ধারিত হওয়া ২১৯ লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেলে পিটার মুরের দল। চার উইকেট হাতে রেখে পাওয়া এ জয়ের ফলে সিরিজে আপাতত বিরাজ করছে সমতা। অর্থাৎ শেষ ম্যাচ থেকেই জয়ী পাবে এই সিরিজ।

জিম্বাবুয়ের দারুণ লড়াইয়ের আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিংয়ে ২০০ বা এর চেয়ে বেশি রানের জুটি গড়েন নিরোশান দিকবেলা ও দানুসকা গুনাথিলাকা। আগের ম্যাচে ২২৯ রানের জুটি গড়ার পর আজ তারা গড়েছেন ২০৯ রানের জুটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরপর দুই ম্যাচে একই ওপেনিং জুটির ২০০ বা এর চেয়ে বেশি রান করার কীর্তি এটাই প্রথম। অবিস্মরণীয় এই কীর্তি গড়ার পথে দিকবেলা করেছেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আর ৮৭ রান এসেছে গুনাথিলাকার ব্যাট থেকে।