ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘সামরিক ব্যবস্থা’ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার সমাজতান্ত্রিক দেশ ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘সামরিক ব্যবস্থা’ নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, ‌‘ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নাকচ করে দেয়া হয়নি। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার এবং রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোর ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।’

শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউ জার্সির গলফ ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির সঙ্গে বৈঠক করেন।

ইউএস টুডে তাদের প্রতিবেদনে ট্রাম্পের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে বলছে, ‘মাদুরো এবং ভেনেজুয়েলার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে অভ্যুত্থান ঘটাতে চাচ্ছে। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে শুধু সামরিক ব্যবস্থাই নয় চাইলে অনেক ব্যবস্থাই আমেরিকা গ্রহণ করতে পারে।’

মার্কিন সেনারা ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের এড়িয়ে যেয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘৩০ জুলাইয়ের বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মাদুরো একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ ওই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপকভাবে নিন্দা জানিয়ে আসছে। ওই ভোট ভেনেজুয়েলানদের ইচ্ছাকে বাধাগ্রস্ত করেছে ‘

ট্রাম্প মাদুরোকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এই ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র থেকে সরে যেয়ে কিউবার মতো একটি সমাজতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রের দেশ হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে রূপান্তর করার প্রতারণাপূর্ণ প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।’ 

অন্য দিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের এ বক্তব্যের জবাবে পেন্টাগন শুক্রবার (১১ আগস্ট) বলছে যে, ‘ভেনেজুয়েলাতে হোয়াইট হাউস এখনো এ সম্পর্কিত কোনও বার্তা পাঠায়নি।’