যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গদের সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু, আহত ৩৫

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যে উগ্র-ডানপন্থী শ্বেতাঙ্গদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং ৩৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। শনিবার ভর্জিনিয়ার শার্লটসভিলে এ সহিংসতায় ঘটনা ঘটে। এক টুইট বার্তায় এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভার্জিনিয়ার গভর্নর টেরি ম্যকলিফ শার্লটসভিলে চরম সহিংসতা ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি করে তিনি এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় শার্লটসভিলে যা ঘটেছে তা মেনে নেয়ার মত নয়। কথা বলার অধিকার মানে সহিংসতার অধিকার নয়।'

ঘটনার বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলের ইমানসিপেশন পার্কে ফেডারেল সরকার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ১১টি স্টেটের কনফেডারেট বাহিনীর মধ্যে ১৮৬১ থেকে ৬৫ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ হয়। কনফেডারেট বাহিনী ছিল দাসপ্রথার পক্ষের শক্তি। কনফেডারেট বাহিনী, ফেডারেল আর্মির কাছে পরাজিত হলে আমেরিকা থেকে দাসপ্রথার বিলুপ্তি ঘটে।

ওই পরাজয়ের পরেও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের অনেক শহরে কনফেডারেট (দাসপ্রথার) প্রতীকগুলো এখনো পর্যন্ত ধরে রাখা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কনফেডারেট পতাকা এবং দাসপ্রথার পক্ষের কনফেডারেট বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া জেনারেল রবার্ট ই লি’র ভাস্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্ত আসে।

ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার সকালে শ্বেতাঙ্গদের একাংশ বিক্ষোভ দেখায়। তারা কনফেডারেট পতাকা নিয়ে নাৎসি আমলের নানা স্লোগান নিয়ে পার্কের জেনারেল রবার্ট ই লি’র ভাস্কর্যের দিকে যাত্রা করেন।

অন্য দিকে কয়েকশ মানুষ তাদের বিরোধিতা করে ওই এলাকায় সমবেত হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তখন তারা পরস্পরের সাথে হাতাহাতি ও বোতল-পাথরের টুকরো ছুঁড়ে মারতে শুরু করে। বিক্ষোভ চলাকালে ভিড়ের মধ্য দিয়ে একটি গাড়ী চালিয়ে দিলে এক ব্যক্তি মারা যান এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্য থেকে বাকি দুই জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। পরে পিপার স্প্রে এবং কাঁদানে গ্যাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।