‘অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ ভালো’

আছেন দক্ষ নাথান লায়ন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন তরুণ অ্যাশটন অ্যাগার ও মিচেল সোয়েপসন। আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। এ চারজনের সমন্বয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণকে সমীহ করতে বাধ্য বিশ্বের যে কোনো দল। কিন্তু বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিন আক্রমণের চেয়েও বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ বেশি শক্তিশালী।

বৃহস্পতিবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাকিব। এ সময় তাকে দুই দলের স্পিন বিভাগের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণই সেরা। সব কন্ডিশনে হয়তো ব্যাপারটা এক রকম নয়। তবে আমাদের দেশের কন্ডিশনে আমাদের স্পিনাররাই সেরা।’

সাকিব আল হাসান যদিও অলরাউন্ডার, কিন্তু দলের এক নম্বর স্পিনারও তিনি। তার সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের সেরা টেস্ট বোলিংয়ের রেকর্ডধারী তাইজুল ইসলাম এবং গত বছর ইংল্যান্ডকে হারানোর নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

সাকিব বলেন, ‘তাইজুল-মিরাজ লম্বা সময় ধরে ভালো বোলিং করছে। আমাদের বিশ্বাস, আসন্ন সিরিজেও তারা দারুণ কিছু করবে। এই সিরিজ জিততে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেও অবশ্য সাকিবের কথাটাকে অযৌক্তিক মনে হবে না। কারণ অস্ট্রেলিয়ার এক নাথান লায়ন ছাড়া অন্য দুজনের বলার মতো তেমন কিছু নেই। লায়ন সব মিলিয়ে ৬৭ ম্যাচে নিয়েছেন ২৪৭টি উইকেট। তিনি ক্যারিয়ারে নয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। অ্যাশটন অ্যাগার ও মিচেল সোয়েপশন মিলে নিয়েছেন দুই উইকেট; দ্বিতীয়জন অবশ্য টেস্টই খেলেননি।

পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব ৪৯ ম্যাচে নিয়েছেন ১৭৬ উইকেট। ক্যারিয়ারে ১৫ বার ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাইজুল ইসলাম খেলেছেন মোট ১৩ টেস্ট। এতে তার মোট শিকার ৪৮টি উইকেট। তাইজুল ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন তিনবার। বাংলাদেশের স্পিন বিভাগের তরুণতম অস্ত্র মিরাজ খেলেছেন মোট সাত টেস্ট। এতে তার শিকার মোট ৩৫ উইকেট। তিনি ইনিংসে পাঁচ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন তিনবার।

বাংলাদেশের স্পিন শক্তি বাড়ানোর জন্য বিসিবি এরই মধ্যে নিয়ে এসেছে সুনিল যোশীকে। ভারতের সাবেক এই স্পিনার বৃহস্পতিবার থেকে সাকিব-তাইজুলদের নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন। সাকিবের কথা মাঠে প্রমাণিত হলে, অস্ট্রেলিয়াকে নিশ্চিতভাবেই ভুগতে হবে।